বেঙ্গালুরু: কলেজ থেকে ফেরার পথে প্রকাশ্য দিবালোকে যামিনী প্রিয়া (২০) নামক এক তরুণীকে নৃশংসভাবে খুনের (Murder) অভিযোগ। বৃহস্পতিবার মালেশ্বরমের ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার শ্রীরামপুরার পলিশ জানিয়েছে, মৃতা তরুণী বনসাহংকারির একটি বেসরকারি কলেজে বি-ফার্মা পড়তেন।
বৃহস্পতিবার কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন যামিনী প্রিয়া নামক ওই তরুণী। তাঁকে মল্লেশ্বরমের মন্ত্রি সাম্পিগে স্কোয়ার মলের কাছে তাঁকে কুপিয়ে খুন করে ভিগনেশ ওরফে সঞ্জয় (২৬) এবং তার বন্ধু হারিশ (৩০)। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে একজন ওই তরুণীর প্রতিবেশী। বেশ কয়েকদিন ধরেই তাঁকে রাস্তায় ফলো করত ওই যুবক।
অভিযুক্ত সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক অভিযোগ দায়ের আছে এবং হারিশ দিনমজুরের কাজ করত। পুলিশ (Police) জানিয়েছে, ওই দুজনকে উত্তর বেঙ্গালুরুর সোলাদেভানাহল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে হাজির করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে যামিনীকে বিরক্ত করত সঞ্জয়
ঘটনার তদন্তে থাকা ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (উত্তর) বি এস নেমাগৌড়া জানিয়েছেন, যামিনীকে বেশ কয়েকদিন ধরে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করত সঞ্জয়। প্রতিবারই তাঁর প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন যামিনী। সেই আক্রোশেই হারিশের সহযোগিতায় যামিনীকে খুন করার ষড়যন্ত্র করেছিল বলে অভিযোগ।
পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, স্থানীয় একটি দোকান থেকে তারা একটি ধারালো ছুরি কিনেছিল। পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনার দিন হরিশ সঞ্জয়কে মোটরবাইকে করে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেয় এবং তার “কাজ শেষ” হওয়ার জন্য অপেক্ষা করে।
খুনের (Murder) পর সঞ্জয়কে তাঁর বন্ধু হারিশ সোলাদেভানাহাল্লির একটি কলেজের কাছে আশ্রয় দেয়। ওই মোটরবাইকটিকে আটক করেছে পুলিশ। তদন্তে জানা গিয়েছে, যামিনীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করার জন্য সঞ্জয় ‘মিশন যামিনী প্রিয়া’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেছিল।
যামিনীর অবস্থান সম্পর্কে আপডেট সংগ্রহ করার জন্য নিজের পাঁচজন বন্ধুকে এই গ্রুপে যুক্ত করেছিল সঞ্জয়, বলে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। শুক্রবার সাংবাদিকদের সামনে অভিযুক্তদের এনকাউন্টারের দাবী জানান যামিনী প্রিয়ার মা ভারালক্ষ্মী দেবী। ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর যামিনীর মৃতদেহ দাহ করা হয়।
মহিলাদের উপর অপরাধ বৃদ্ধির অভিযোগে সরব বিরোধীরা
ঘটনায় কর্ণাটক সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আর অশোক (R Ashok)। শুক্রবার কর্ণাটকে নারী ও নাবালকদের বিরুদ্ধে “ক্রমবর্ধমান” অপরাধ এবং “ভেঙে পড়া” আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশন (NCW) কে চিঠি লিখেছেন আর অশোক।
সেইসঙ্গে সরকারি তথ্য ও গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে তিনি দাবি করেন, কর্ণাটকে গত চার মাসে নাবালকদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন ও নৃশংসতার ৯৭৯ টি ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে কেবল বেঙ্গালুরুতেই এই অপরাধের সংখ্যা ১১৪ টিরও বেশি!