শনিবার রাতে মাফিয়া আতিক আহমেদ ((Notorious gangster-turned-politician Atique Ahmed)) ও আশরাফকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পুলিশ হেফাজতে আতিক ও আশরাফকে হত্যা করে তিন অজ্ঞাত হামলাকারী। আতিকের মৃত্যুর খবরের পরে, সিএম যোগী আদিত্যনাথ শনিবার গভীর রাতে ডিজিপি রাজ কুমার বিশ্বকর্মা এবং এডিজি প্রশান্ত কুমারকে (আইন-শৃঙ্খলা) তলব করেন।
মনে করা হচ্ছে, পুলিশ হেফাজতে আতিক ও আশরাফ আহমেদকে হত্যা করায় সিএম যোগী আদিত্যনাথ খুবই ক্ষুব্ধ। সিএম যোগী তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। পাশাপাশি বিচার বিভাগীয় তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। গভীর রাতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
গভীর রাতে প্রয়াগরাজ পৌঁছন সমস্ত সিনিয়র অফিসাররা
আতিক হত্যা মামলার পর প্রয়াগরাজে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ রয়েছে। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সময়, মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে এই বৈঠকে ডিজিপি আরকে বিশ্বকর্মা, বিশেষ ডিজি আইন ও শৃঙ্খলা প্রশান্ত কুমার, মুখ্য সচিব স্বরাষ্ট্র সচিব সঞ্জয় প্রসাদ এবং অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। লখনউ থেকে সমস্ত সিনিয়র অফিসাররা শনিবার গভীর রাতেই প্রয়াগরাজ পৌঁছাবেন।
প্রয়াগরাজে পুলিশ সতর্ক
প্রয়াগরাজের পরিবেশ যাতে বিগড়ে না যায় সেজন্য পুলিশ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ কড়া হয়ে গেছে। প্রয়াগরাজে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। ঘটনাস্থলসহ শহরের অন্যান্য এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রয়াগরাজ ছাড়াও অন্যান্য শহরগুলিতেও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আতিক ও আশরাফকে ওই সময় তিনজন অজ্ঞাত হামলাকারী গুলি করে হত্যা করে। যখন তিনি চিকিৎসা পরীক্ষার জন্য প্রয়াগরাজের কলভিন হাসপাতালে যান। একই সময়ে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আসা তিন যুবক নির্বিচারে গুলি করে আতিক ও আশরাফকে হত্যা করে।
ঘটনাস্থল থেকে তিন হামলাকারীকে আটক করেছে পুলিশ। তিনজনের নাম বলা হচ্ছে লাভলেশ তিওয়ারি, সানি ও অরুণ মৌর্য। পুলিশ তিনজনকেই আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এখানে পুলিশ তিন হামলাকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।