ছত্তিশগড়ের বস্তার অঞ্চল, যা একসময় মাওবাদী ও নকশাল সন্ত্রাসের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিত ছিল, এখন শান্তি ও উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে ( Modi)। স্বাধীনতা দিবসের দিন লাল কেল্লার প্রাচীর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দেওয়া ভাষণে বস্তারের এই রূপান্তরের কথা তুলে ধরা হয়েছে। ছত্তিশগড়ের উপ-মুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা এই ভাষণকে ‘প্রেরণাদায়ী’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, “বস্তার শান্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন, বস্তার এখন সন্ত্রাসের গলিপথ থেকে বেরিয়ে উন্নয়নের গলিপথে প্রবেশ করছে, তা বস্তারে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে।” এই ঘোষণা ছত্তিশগড়ের জন্য একটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে এবং রাজ্যের উন্নয়নের পথে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।বস্তারের রূপান্তরছত্তিশগড়ের বস্তার অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে মাওবাদী ও নকশাল সংঘাতের কারণে অশান্তির কেন্দ্রবিন্দু ছিল।
এই অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনী এবং মাওবাদীদের মধ্যে সংঘর্ষে বহু প্রাণহানি ঘটেছে, এবং স্থানীয় জনগণ উন্নয়নের সুফল থেকে বঞ্চিত ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের সমন্বিত প্রচেষ্টায় বস্তারে শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এবং ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সায়ের তত্ত্বাবধানে বস্তারে নিরাপত্তা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদী বস্তারের এই রূপান্তরের কথা তুলে ধরে বলেছেন, “বস্তার এখন আর সন্ত্রাসের গলিপথ নয়, এটি উন্নয়নের গলিপথে পরিণত হচ্ছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, ক্রীড়া ও সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বস্তারের জনগণ এখন উন্নয়নের মূল স্রোতে যুক্ত হচ্ছে। এই বক্তব্য বস্তারের জন্য কেবল একটি প্রশংসা নয়, বরং এটি অঞ্চলের জনগণের জন্য একটি নতুন আশার বার্তা।
ছত্তিশগড়ের উপ-মুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণকে অত্যন্ত প্রেরণাদায়ী বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ আমাদের সকলের জন্য একটি প্রেরণা। বস্তারে শান্তি ও উন্নয়নের যে পরিবর্তন ঘটছে, তা আমরা স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছি।” তিনি আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের নিরাপত্তা ও উন্নয়নমূলক উদ্যোগ এবং রাজ্য সরকারের সক্রিয় ভূমিকার কারণে বস্তারে সন্ত্রাসের ছায়া ক্রমশ কমছে।
এই অঞ্চলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, এবং পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রকল্প চালু হয়েছে, যা স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করছে।বস্তারে উন্নয়নের পদক্ষেপকেন্দ্রীয় সরকারের ‘নকশালমুক্ত ভারত’ উদ্যোগের অধীনে বস্তারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
মাওবাদীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের পাশাপাশি, স্থানীয় যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ, শিক্ষার প্রসার, এবং গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়নের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। বস্তারের জনগণকে মূলধারায় যুক্ত করতে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে, যা তাদের মধ্যে ঐক্য ও আত্মবিশ্বাসের বোধ জাগিয়ে তুলছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেছেন যে, বস্তারে ক্রীড়ার মাধ্যমে সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অঞ্চলে যুবকদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে একটি ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। এছাড়াও, রাস্তা, বিদ্যুৎ, এবং ইন্টারনেট সংযোগের উন্নতি বস্তারের গ্রামগুলোকে দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে যুক্ত করছে।
বস্তারের এই রূপান্তর কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফল। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সায়ের নেতৃত্বে রাজ্য সরকার বস্তারে শান্তি ও উন্নয়নের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর নির্দেশনা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক ও নীতিগত সমর্থন এই প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করেছে।
উপ-মুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা প্রধানমন্ত্রীর ভাষণকে এই অঞ্চলের জনগণের জন্য একটি প্রেরণা হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যা বস্তারের উন্নয়নের পথকে আরও শক্তিশালী করবে।ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাবস্তারে শান্তি ও উন্নয়নের এই যাত্রা কেবল ছত্তিশগড়ের জন্য নয়, সমগ্র দেশের জন্য একটি উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে।
মাওবাদী অশান্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পাশাপাশি উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ এবং রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টা এই অঞ্চলের জনগণের মধ্যে আশা ও আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তুলেছে। বস্তারের এই রূপান্তর একটি দীর্ঘ যাত্রার সূচনা।
প্রেক্ষাগৃহে ‘ধূমকেতু’ ঝড়, দেব-শুভশ্রী জুটির কামব্যাকে দ্বিতীয় দিনে রেকর্ড আয়
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দৃষ্টিভঙ্গি এবং ছত্তিশগড় সরকারের প্রচেষ্টায় বস্তার সন্ত্রাসের অন্ধকার থেকে উন্নয়নের আলোয় এগিয়ে চলেছে। উপ-মুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মার মতে, এই পরিবর্তন বস্তারের জনগণের জন্য একটি নতুন ভোরের সূচনা। ভবিষ্যতে এই অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি আরও দৃঢ় হবে বলে আশা করা যায়।
