কলকাতা-লন্ডন সরাসরি বিমান, মমতার লন্ডন সফরে বড় আর্জি

বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee in London)। এই অনুষ্ঠানটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও…

CM Mamata Banerjee Attends High Commission of India Meeting in London"

বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee in London)। এই অনুষ্ঠানটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থও। অনুষ্ঠানটি ছিল মূলত বাংলার শিল্প ও কর্মসংস্থানের প্রসারে বিশেষ এক উদ্যোগ, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী বাংলার নানা সংস্কৃতি এবং শিল্পকলার প্রসারে কথা বলেন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee in London) অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে আশ্বস্ত করেন যে, বাংলার মধ্যে প্রচুর দক্ষ কর্মী রয়েছে, যাদের হাতে কাজ দিয়েই রাজ্য তথা দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি সম্ভব। তিনি বলেন, “বাংলায় দক্ষ কর্মী পাওয়া যায় এবং ব্যবসায়ীরা এখানে সহজেই দক্ষ কর্মী পেতে পারেন। ইতিমধ্যে ৪৭ লক্ষ মানুষ প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন এবং ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ কর্মসংস্থানে আছেন।”

   

বাংলার শিল্পের উন্নতি, বিশেষ করে দুর্গাপুজো এবং ডোকরা শিল্পের প্রসার নিয়ে মমতা একাধিক বার কথা বলেন। তিনি বলেন, “দুর্গাপুজোর সময় আমরা ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠান আয়োজন করবো, যেখানে বাংলার সব শিল্পের প্রদর্শন করা হবে। এখানে ডোকরা শিল্প থেকে শুরু করে সব ধরনের ঐতিহ্যবাহী শিল্প প্রদর্শিত হবে।”

Advertisements

এছাড়া, বাংলার শিল্পের প্রতি বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করার জন্যও তিনি একাধিক বার দাবি করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যে কোনো ব্যবসায়ী যদি দক্ষ কর্মী চান, তারা আমাদের কাছে পর্যাপ্ত কর্মী পেতে পারেন। আমাদের রাজ্যে প্রচুর কাজের সুযোগ রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক বাজারেও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।”

কিন্তু, তার বক্তৃতার মূল সুর ছিল লন্ডন এবং কলকাতার মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগের দাবি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলা কিন্তু লন্ডন থেকে অনেক বেশি দূরে নয়। আমরা চাই, কলকাতা এবং লন্ডনের মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠুক। আমি ভারতীয় রাষ্ট্রদূত এবং ইউকে সরকারের কাছে এই অনুরোধ করছি। আমার এখানে আসতে ১৮ ঘণ্টা সময় লেগেছে এবং পুরো বিষয়টা হজপজ হয়ে গিয়েছিল। তাই সরাসরি বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরি।”

এছাড়া, তিনি বলেন, “বিগত কয়েক বছরে বাংলা থেকে বিদেশে বহু মানুষ কাজের জন্য গিয়েছেন, আর তারা প্রত্যেকেই আমাদের রাজ্যের সুনাম বৃদ্ধি করেছেন। আমরা চাই, বাংলার শিল্প, সংস্কৃতি, এবং দক্ষ কর্মীকে আন্তর্জাতিক স্তরে আরও বেশি পরিচিত করা হোক।”

মমতার এই দাবির প্রেক্ষিতে, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে কলকাতা-লন্ডন সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হলে, তা ব্যবসায়িক এবং পর্যটন ক্ষেত্রে বড় ধরনের সুবিধা এনে দেবে। কলকাতার শিল্প এবং সংস্কৃতির প্রচারের জন্য এটি একটি বড় পদক্ষেপ হতে পারে।

অবশেষে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার ভাষণে জানিয়েছেন, বাংলার কর্মীদের দক্ষতা এবং রাজ্যের শিল্পের সম্ভাবনা সম্পর্কে বিদেশে আরও অনেক প্রচার করতে চান। তার মতে, এই ধরনের উদ্যোগ বাংলার অর্থনীতি এবং মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।