নয়াদিল্লি: ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ভারতের বস্ত্র সেক্টরের মোট আয় ছিল ১৭৯ বিলিয়ন ডলার। যার মধ্যে আমেরিকা (America) থেকেই ভারতের আয় হয়েছিল প্রায় ৩৭ বিলয়ন ডলার। ভারত থেকে রফতানিকৃত পণ্যের আমেরিকা ৫০% শুল্ক (Tariff) বসানোয় উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েছে ভারতের বস্ত্রশিল্পের অন্যতম হাব সুরাতে। শুল্ক ত্রাসে ত্রাহি ত্রাহি রব নরেন্দ্র মোদীর নিজ রাজ্যে। উৎপাদনকারীরা কার্যত কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন।
সুরাতের লুমস কোম্পানির ডিরেক্টর তথা সেক্রেটারি বিমল বেকাওালা বলেন, “৫০% শুল্ক চাপানোয় কাপড়ের চাহিদা কমে গেছে। এই পরিস্থিতিতে উৎপাদন করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে।” আগে যেখানে একটি বস্ত্র উৎপাদনে ২০ টাকা খরিচ হত, তা বেড়ে প্রায় ৫০-৬০ টাকা দাঁড়াবে বলে জানান তিনি। বিমলের আশঙ্কা এই পরিস্থিতিতে “বস্ত্রের দাম হু হু করে বাড়বে”।
চাহিদা-জোগানের এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে “বিকল্প” ব্যবস্থা নেওয়াই একমাত্র সমাধানের পথ বলে মনে করছেন উৎপাদনকারীরা। বিমল বেকাওয়ালা বলেন, “আমরা অন্যান্য দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করছি। অন্যান্য দেশে ব্যবসা বাড়াতে না পারলে অবস্থা সঙ্গীন হয়ে পড়বে।” আমেরিকার চড়া শুল্কের কোপে ব্যবসা প্রায় বন্ধ হতে বসলেও মোদী সরকারের উপর আস্থা রাখছেন সুরাতের উৎপাদনকারীরা। বিমল বলেন, “মোদী সাহেব রাজনৈতিক ভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস তিনি নিশ্চয়ই কোনও সমাধান্দের পথে বের করবেন”।
উল্লেখ্য, বিশ্বের বাজারে প্রায় ৫৯০ ডলারের বস্ত্র রফতানি করে ভারত। বিশ্বের বস্ত্র (textile) রফতানিকারক দের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে ভারত। তবে আমেরিকার ৫০% শুল্ক বসানোর আবহে বিকল্প হিসেবে ৪০ টি দেশের কাছে যাওয়ার কথা ভাবছে ভারত। যার মধ্যে ব্রিটেন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান সহ জার্মানি, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ডের মোট ইউরোপীয় দেশ, মেক্সিকো, রাশিয়া, বেলজিয়াম, কানাডা, তুরস্কের মত দেশও রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।