বুধবার আসামের বাঁকসা জেলা পরিণত হয় এক রণক্ষেত্রে, যখন প্রখ্যাত গায়ক জুবিন গর্গের (Zubeen Garg’s Death) মৃত্যুর মামলায় গ্রেফতার পাঁচজন আসামিকে জেলা কারাগারে আনা হয়। এই ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে জনতা, যারা শুরুতেই কারাগারের সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। মুহূর্তেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় যখন গ্রেফতারদের বহনকারী পুলিশ ভ্যান কারাগারে পৌঁছায়।
যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন ইভেন্ট অর্গানাইজার শ্যামকানু মহন্ত, গায়ক জুবিন গর্গের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা, বরখাস্ত হওয়া এপিএস অফিসার সন্দীপন গর্গ এবং দুইজন নিরাপত্তা প্রহরী (পিএসও), যাদের মধ্যে একজন হলেন নন্দেশ্বর বরা।
বুধবার সকালে প্রধান বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট এই পাঁচজনকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর পুলিশি নিরাপত্তায় তাদের জেলা কারাগারে নিয়ে আসা হয়।শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। এই বিশৃঙ্খলায় একটি পুলিশ গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে ওঠে যে, কারাগারের আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করতে হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখনো পর্যন্ত পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হলেও নিয়ন্ত্রণে আছে।
আসামের সংগীতজগতে এক অমর নাম জুবিন গর্গ। তার অকালমৃত্যু রাজ্যজুড়ে নেমে এসেছে গভীর শোক ও ক্ষোভ। অনুরাগীরা মনে করছেন, এই মৃত্যু নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং এর পেছনে রয়েছে গভীর ষড়যন্ত্র। ফলে গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর পদক্ষেপ এবং মামলার স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছেন তারা।
ঘটনার পরপরই বাঁকসা জেলার কারাগার ও সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রশাসন আশ্বস্ত করেছে যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং পুনরায় এমন কোনও ঘটনা যাতে না ঘটে, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।