Chinese flag in Galwan valley: গালওয়ানে পতাকা উড়িয়ে চিনের দাবি এক ইঞ্চি জমিও ছাড়ব না

লাদাখ সীমান্তের বিতর্কিত জমি সমস্যা মেটাতে ভারত ও চিনের সেনা কমান্ডার পর্যায়ের ১৩ বার আলোচনা হয়েছে। এখনও সমস্যার সমাধান হয়নি। এরই মধ্যে জানা গেল, বছরের…

Chinese flag unfurled in Galwan valley

লাদাখ সীমান্তের বিতর্কিত জমি সমস্যা মেটাতে ভারত ও চিনের সেনা কমান্ডার পর্যায়ের ১৩ বার আলোচনা হয়েছে। এখনও সমস্যার সমাধান হয়নি। এরই মধ্যে জানা গেল, বছরের প্রথম দিনে গালওয়ানে (Galwan valley) নিজেদের পতাকা তুলেছে চিন (china)। শুধু তাই নয়, ট্যুইট করে জানিয়েছে গালওয়ান থেকে তারা এক ইঞ্চিও সরবে না।  

চিনের সরকারি প্রচার মাধ্যম গ্লোবাল টাইমসে জাতীয় পতাকার একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, গালওয়ান উপত্যকায় তোলা হল দেশের জাতীয় পতাকা । এই পতাকা তিয়েনআনমেন স্কোয়ারেও তোলা হয়েছিল। এবার তোল হল ভারত সীমান্ত সংলগ্ন গালওয়ান উপত্যকায়।

ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় গালওয়ান উপত্যকায় চিনের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের ওই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যথারীতি এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর মোদী সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে বিরোধীরা।

রাহুল গান্ধী অবিলম্বে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য জানতে চেয়েছেন। রাহুল ট্যুইট করে জানতে চেয়েছেন, গালওয়ানে আমাদের জাতীয় পতাকা কবে তোলা হবে মোদিজি? এবার সময় হয়েছে কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়ার। শুধু ফাঁকা বুলি শুনে আর কতদিন চলবে।

জানা গিয়েছে, চিন পূর্ব লাদাখের প্যাংগং হ্রদে একটি সেতু তৈরি করছে। উপগ্রহ ক্যামেরায় সেই সেতু নির্মাণের ছবিও ধরা পড়েছে। এই সেতু তৈরি হয়ে গেলে খুব অল্পসময়ের মধ্যেই চিনা ফৌজ ভারতীয় সীমান্তের অভ্যন্তরে পৌঁছে যাবে। ড্যামিয়েন সাইমন নামে এক ব্যক্তি ওই সেতু তৈরির ছবি টুইটারে পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, এই সেতু তৈরি হয়ে গেলে উত্তর প্যাংগংয়ের সঙ্গে দক্ষিণের সংযোগস্থাপন হবে। ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় দ্রুত সেনা পাঠানোর জন্যই এই সেতু তৈরি করছে চিন।

গতবছর লাদাখ অঞ্চলে হিমালয় পর্বতমালার শিখরে সেনা মোতায়েন করে ভারত। ফলে কৌশলগতভাবে ভারত-চিনের থেকে কিছুটা হলেও এগিয়ে আছে। কিন্তু এই সেতু তৈরি হয়ে গেলে চিন সহজেই ভারতীয় সীমান্তে সেনা পাঠাতে পারবে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের জুন মাসে গালওয়ানে ভারত ও চিনের সেনার মধ্যে প্রবল সংঘর্ষ ঘটে। ওই সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। চিনের কয়েকজন সেনাও প্রাণ হারান। ওই ঘটনার পর দুই দেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সংঘর্ষস্থল থেকে দুই কিলোমিটার দূরে সেনা সরিয়ে আনবে। কিন্তু বৈঠকে চিন আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তা হয়নি।