ভারতীয় নৌসেনার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে চিনের প্রথম সুপার ক্যারিয়ার

চিনের প্রথম সুপার ক্যারিয়ার সামুদ্রিক পরীক্ষা শেষে বন্দরে ফিরে এসেছে। ফুজিয়ান (Fujian) নামক এই বিমানবাহী জাহাজটি চিনের তৈরি সবচেয়ে উন্নত যুদ্ধজাহাজ। এটি চিনের সামরিক ও…

Fujian

চিনের প্রথম সুপার ক্যারিয়ার সামুদ্রিক পরীক্ষা শেষে বন্দরে ফিরে এসেছে। ফুজিয়ান (Fujian) নামক এই বিমানবাহী জাহাজটি চিনের তৈরি সবচেয়ে উন্নত যুদ্ধজাহাজ। এটি চিনের সামরিক ও নৌ সক্ষমতার একটি বড় অর্জন। এটি Type 003 ক্লাস ক্যারিয়ার।

এটি চিনে ডিজাইন করা প্রথম বিমানবাহী রণতরী। এটিতে একটি সমন্বিত প্রপালশন সিস্টেম এবং ক্যাটাপল্ট সহ ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক্স রয়েছে যা পুরনো বাষ্প চালিত ক্যাটাপল্টগুলিকে প্রতিস্থাপন করেছে। এটি বিমানটিকে ডেক থেকে নির্ভুলভাবে চালু করতে দেয়। আমেরিকান নৌবাহিনী, যা প্রযুক্তিগতভাবে বিশ্বে উন্নত বলে বিবেচিত হয়, তাদের কাছে এই প্রযুক্তি রয়েছে এবং তারা এটি তাদের যুদ্ধজাহাজে ব্যবহার করেছে।

   

ফুজিয়ান শীঘ্রই তার ক্যারিয়ারে বিমানের পরীক্ষা শুরু করতে পারে। এরপর যুদ্ধজাহাজটিকে প্রস্তুত ঘোষণা করা হবে। চিনের বিমানবাহী রণতরী তৈরির পরিকল্পনা বিশেষ করে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নৌ সক্ষমতা বাড়ানোর প্রচেষ্টার অংশ। এই যুদ্ধজাহাজের ওজন আনুমানিক 80,000 টন।

চিনের প্রথম বিমানবাহী রণতরী লিয়াওনিং ছিল সোভিয়েত যুগের একটি জাহাজ। এটি 1998 সালে ইউক্রেন থেকে কেনা হয়েছিল। এই ক্যারিয়ার অসম্পূর্ণ ছিল এবং ব্যবহার করা হচ্ছে না। পরে এটিকে সংস্কার করা হয় এবং 2012 সালে পিপলস লিবারেশন আর্মি নেভিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। লিয়াওনিং প্রধানত প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং এটি চিনের দ্রুত বর্ধনশীল সামরিক শক্তির প্রতীক।

দ্বিতীয় বাহক চিন ছিল শানডং। এটি ছিল চিনে নির্মিত প্রথম ক্যারিয়ার। এটি ডিসেম্বর, 2019 এ নৌবাহিনীতে যোগদান করে। এটিকে লিয়াওনিংয়ের একটি আধুনিক রূপ বলে মনে করা হয়। শেনইয়াং J-15 যুদ্ধবিমান এতে মোতায়েন করা হয়। চিনের নৌবাহিনীও ফাইটার এয়ারক্রাফট জে-৩৫ তৈরি করছে। এটি ফুজিয়ানে স্থাপন করা যেতে পারে।

ভারতীয় নৌবাহিনীর দুটি বিমানবাহী রণতরী রয়েছে – আইএনএস বিক্রমাদিত্য এবং আইএনএস বিক্রান্ত। ভারতীয় নৌসেনা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে একটি বৃহৎ-ক্ষমতাসম্পন্ন বিমানবাহী রণতরী ফিল্ড করতে চায়। তবে এর উচ্চ ব্যয়ের কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে এর অনুমোদন পাওয়া যায়নি। একটি হিসেব অনুযায়ী, ফুজিয়ানের সমান ক্ষমতাসম্পন্ন একটি যুদ্ধজাহাজের দাম হবে প্রায় সাত বিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া এই যুদ্ধজাহাজে নতুন যুদ্ধবিমান মোতায়েন করতেও বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হবে।