চিনের মিসাইলের মজুদ ছাড়াল 2 হাজার, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কি তা ঠেকাতে পারবে?

China Military Power Report: আমেরিকা ও ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে চিনের ঘাতক ক্ষেপণাস্ত্রের মজুত বিপজ্জনক সংখ্যা ছাড়িয়েছে দুই হাজার। আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক পেন্টাগন তার বার্ষিক…

China military

short-samachar

China Military Power Report: আমেরিকা ও ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে চিনের ঘাতক ক্ষেপণাস্ত্রের মজুত বিপজ্জনক সংখ্যা ছাড়িয়েছে দুই হাজার। আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক পেন্টাগন তার বার্ষিক প্রতিবেদনে চিনা সেনাবাহিনীর রকেট শক্তি সম্পর্কে একটি বড় তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, চিনের মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা ১৩০০ ছুঁয়েছে। চিনের কাছে যে আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা আমেরিকায় পৌঁছাতে পারে তার সংখ্যাও 500 ছুঁয়েছে। চিনের কাছে 250টি মধ্যবর্তী পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। এছাড়া চিনা রকেট ফোর্সের কাছে স্বল্প-পাল্লার এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে। চিনের এই ক্ষেপণাস্ত্র অস্ত্র ভারতের জন্য বিরাট হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

   

মার্কিন পার্লামেন্টে উপস্থাপিত পেন্টাগনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত ভারতীয় সীমান্তে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করেছে চিন। এই রিপোর্ট অনুসারে, গালওয়ান সহিংসতার পরে, চিনা সেনা পিএলএ তাদের পোস্ট থেকে পিছু হটেনি বা তাদের সেনা কমানো হয়নি। সেটিও যখন সম্প্রতি ভারত ও চিনের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চিন এলএসির অপর প্রান্তে অনেক বড় আকারে পরিকাঠামো নির্মাণ করছে যাতে সেখানে দীর্ঘ সময়ের জন্য বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করা যায়।

চিনের ক্ষেপণাস্ত্র ভারতে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে

PLA এর বাড়তে থাকা শক্তি এবং বিশেষ করে এর রকেট বাহিনী ভারতীয় সামরিক ও শিল্প পরিকাঠামোর জন্য সরাসরি হুমকি। এই ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ ভারতের যেকোনো শহরকে ধ্বংস করা। এর মধ্যে অনেকেই পারমাণবিক হামলা চালাতেও সক্ষম। চিনের কাছে পর্যাপ্ত হাইপোসনিক ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে যা দিয়ে তারা সহজেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর কমান্ড সেন্টার এবং সামরিক ঘাঁটি ধ্বংস করতে পারে। ভারতের কাছে বর্তমানে এমন কোনো প্রতিরক্ষা ঢাল নেই যা চিনা ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে পারে। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র থেকে রক্ষা পেতে ভারত একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিন বড় পরিসরে ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে হামলা চালালে ভারতীয় বিএমডি সিস্টেমের পক্ষে তা বন্ধ করা সহজ হবে না।

ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে S-400 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কিনেছে কিন্তু ইউক্রেন আর্মি আমেরিকান মিসাইল দিয়ে তাও ধ্বংস করেছে। এটি প্রমাণ করেছে যে রাশিয়ান ব্যবস্থাও অজেয় নয়। শুধু তাই নয়, চিনের কাছে এমআইআরভি প্রযুক্তিতে সজ্জিত ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা একসঙ্গে একাধিক পারমাণবিক বোমা বহন করতে পারে। এগুলো যেকোনো বিদ্যমান বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে পারে।

চিনের সঙ্গে মোকাবিলায় ব্রহ্মোস মোতায়েন

চিনের আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র শুধু ভারত নয়, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আমেরিকা ও তার মিত্রদের বাহিনীকেও লক্ষ্যবস্তু করতে সক্ষম। চিনের স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র LAC-তে মোতায়েন সেনাদের ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে। চিনের এই হুমকি মোকাবিলায় ভারতও বড় আকারে ব্রহ্মোস, অগ্নি এবং অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে। ভারত ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলও মোতায়েন করেছে। চিনের পারমাণবিক বোমার সংখ্যাও ৬০০ ছুঁয়েছে।