১৫ই আগস্ট মানেই আজ সারা দেশ স্বাধীনতা দিবস (Independence Day) উদযাপন করছে। এদিকে স্বাধীনতা দিবসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পাকিস্তান (Pakistan) থেকে আসা সীমা হায়দারের (Seema Haider) চার সন্তানও অংশ নেয়। চারটি শিশুই গ্রেটার নয়ডার সংলগ্ন রবুপুরার ডিপিএস স্কুলের প্রোগ্রামে তাদের হাতে ভারতের তেরঙ্গা (Indian national flag) নিয়ে অংশ নিয়েছিল এবং ভারত মাতা কি জয় স্লোগানও দেয়। সেই সঙ্গে গাওয়া হয় জাতীয় সঙ্গীত।
সীমা হায়দারের শ্বশুর নেত্রপাল স্কুল ম্যানেজমেন্টকে বাচ্চাদের ভর্তির জন্য অনুরোধ করেছিলেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে স্কুল ব্যবস্থাপনার কর্মকর্তারা বলেছেন যে পুরো ঘটনায় সীমা হায়দার যদি পুলিশের কাছ থেকে ক্লিন চিট পায়, তাহলে অবশ্যই বাচ্চাদের পড়াশুনা করতে দেওয়া হবে। এই মুহূর্তে সীমা হায়দার তার সন্তানদের নিয়ে গ্রেটার নয়ডার রাবুপুরায় সচিন মীনার বাড়িতে বসবাস করছেন।
স্কুলের ম্যানেজার ভীমসেন বলেছেন যে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এবং এটিএস তদন্তে যদি সীমা হায়দারকে ক্লিন চিট দেয়, তবে কেবলমাত্র ডিএম এবং বিএসএর নির্দেশে, চারটি শিশুকে স্কুলে ভর্তি করা হবে। ভীমসেন বলেন, ভারতে প্রথমবারের মতো সীমার ছেলেমেয়েরা স্কুলে আসার সুযোগ পেল। একইসঙ্গে, স্কুলের অধ্যক্ষ বলেছেন যে এটিএস তদন্তে সীমা হায়দার যদি ক্লিন চিট পান তবে তিনি তার সন্তানদের বিনামূল্যে শিক্ষা দেবেন।
সচিনের জন্য পাকিস্তান থেকে ভারতে এসেছিলেন
পাকিস্তান থেকে আসা সীমা হায়দার আজকাল ভারতে বেশ শিরোনামে। সীমা হায়দার বলেছেন, সচিনের ভালোবাসাই তাকে এখানে টেনেছে। তিনি এখন ভারতে থাকতে চান এবং পাকিস্তানে যেতে চান না। তবে সীমা হায়দারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তিনি পাকিস্তানের পাঠানো একজন গুপ্তচর। তবে সীমা খোলাখুলিভাবে এসব অভিযোগের বিষয়ে তার মতামত ব্যক্ত করে বলেছেন যে তিনি গুপ্তচর নন। PUBG খেলার সময় তিনি সচিনের প্রেমে পড়েন এবং তারপর তিনি নেপাল হয়ে ভারতে আসেন।