দীপাবলির উৎসব যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই চণ্ডীগড় প্রশাসন শহরজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কড়াকড়ি বাড়িয়েছে। উৎসবের মরশুমে খাদ্যে ভেজাল রুখতে সম্প্রতি খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের আধিকারিকরা একাধিক হঠাৎ পরিদর্শন চালিয়ে পনির ও খোয়ার মোট ২৬টি নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এছাড়াও, খাদ্য নিরাপত্তা বিধি না মানায় একাধিক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে চালান জারি করা হয়েছে।
উৎসবের সময় পনির, খোয়া এবং মিষ্টির চাহিদা তুঙ্গে ওঠে। সেই সুযোগে বাজারে ভেজাল খাদ্যদ্রব্য বিক্রির প্রবণতা বেড়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে চণ্ডীগড় প্রশাসনের এই পদক্ষেপ সাধুবাদযোগ্য। খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগ জানিয়েছে, মোট ২৬টি নিয়ন্ত্রিত এবং ২৫টি নজরদারি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তা পরীক্ষার জন্য ফুড অ্যানালিস্ট ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। এখনো পর্যন্ত ৯টি চালান জারি হয়েছে ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাক্ট’-এর বিভিন্ন ধারায়।
জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে সচেতনতামূলক শিবিরও চালানো হচ্ছে। দোকানদার ও বিক্রেতাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্য প্রস্তুত ও সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভোক্তাদের জন্য পরামর্শ:
চণ্ডীগড়ের স্বাস্থ্য দফতর ভোক্তাদের সন্দেহজনক খাদ্যদ্রব্য দেখতে পেলে সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ জানাতে বলেছে। অভিযোগ জানানো যেতে পারে সেক্টর ১৬-র গভর্নমেন্ট মাল্টি-স্পেশালিটি হাসপাতালের ফুড সেফটি বিভাগে অথবা FSSAI-এর Food Safety Connect অ্যাপ এবং https://foscos.fssai.gov.in/consumergrievance/ পোর্টালে।
ভেজাল চেনার উপায়: Chandigarh Diwali Food Safety
পনির: আসল পনিরের গন্ধ মৃদু ও দুধের মতো, টেক্সচার শক্তপোক্ত ও ছিন্নবিচ্ছিন্ন। চুলায় গরম করলে আসল পনির হালকা বাদামি হয়ে যায়। যদি গলে যায় বা জল ছাড়ে, তবে সেটি ভেজাল হতে পারে। একটি ছোট টুকরো সেদ্ধ করে ঠান্ডা হলে তাতে আয়োডিন ফোঁটালে নীল রং এলে বুঝবেন স্টার্চ মেশানো আছে।
খোয়া: আসল খোয়ার গন্ধ হয় দুধের মতো ও ঘন। টেক্সচার থাকে নরম ও দানাদার। ভেজাল খোয়া সাধারণত গন্ধে টক বা কৃত্রিম এবং টেক্সচারে অতিরিক্ত শক্ত বা আঠালো হয়।
ঘরে পনির ও খোয়া তৈরি করুন:
সন্দেহ থাকলে বাড়িতে সহজেই বানিয়ে নিতে পারেন পনির ও খোয়া। পাঁচ কাপ দুধে ২ চামচ লেবুর রস বা ভিনেগার দিয়ে জ্বাল দিলেই পনির তৈরি হয়। খোয়ার জন্য দুধ ঘন করে জ্বাল দিয়ে তৈরি করুন আসল, ভেজাল-মুক্ত খোয়া।
দীপাবলিতে নিরাপদ ও সুস্থ খাদ্য গ্রহণ করুন – এই বার্তাই দিচ্ছে চণ্ডীগড় প্রশাসন।