বিগত এক সপ্তাহ ধরে জ্বলছে চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চল। পৃথক রাষ্ট্রের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকায় বিদ্রোহ করে আসছে চাকমা জনজাতি। আর সেই বিদ্রোহ দমন করার জন্য চাকমাদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে বাংলাদেশ সেনা ও মুসলিম কট্টরপন্থী সম্প্রদায়।
সরকারী এই অ্যাপ থেকে ঘরে বসে পাবেন টোল তথ্য, জানুন সম্পূর্ণ পদ্ধতি
তাই চাকমাদের অধিকার রক্ষায় এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) দ্বারস্থ হল উত্তর-পূর্ব ভারতের উপজাতি সম্প্রদায়ের নেতারা। বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এবিষয়ে আলোচনা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আর্জি জানিয়ে একটি স্মারকলিপিও পাঠিয়েছেন তাঁরা।
আরজি কর কাণ্ডে ‘রাত-দখলকারী’দের বিরুদ্ধে এবার মামলা-তলব শুরু পুলিশের
চট্টোগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলে তিনটি জেলা, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দারবান। এই তিনটি জেলাতেই গত তিনদিন ধরেই অশান্ত। চাকমা ও বৌদ্ধদের বাড়ি-ঘরে হামলা চলেছে। খুন হয়েছেন অন্তত ১০ জন অমুসলিম। পোড়ানো হয়েছে চাকমা, কুকি, ব্রু এবং অন্যান্য আদিবাসী সম্প্রদায়ের হাজারেরও বেশি বাড়িঘর, ধর্মস্থান, দোকান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের দফতর থেকে বিবৃতি দিয়ে পাহাড়ের ঘটনায় সকলকে শান্ত থাকার আবেদন জানানো হয়েছে। তিন জেলায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। তবুও উত্তেজনা কমেনি।
‘Ak-56’-এর উত্তরসূরী হয়ে দিল্লির মসনদে শপথ অতিশীর
এই আবহে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও নিরাপত্তার দাবিতে ‘মার্চ ফর আইডেন্টিটি’ প্রচার শুরু করেছে চাকমা, ব্রু-য়ের মতো জনগোষ্টীগুলি। ওই অঞ্চলে কুকি জনবসতি দীর্ঘদিন ধরেই কুকি ন্যাশনাল ফ্রন্ট নামের সশস্ত্র সংগঠনটি স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। আর সেই আন্দোলনকে দমন করতেই স্থানীয় জনজাতির ওপর বাংলাদেশের বাহিনী নির্যাতন চালাচ্ছে বলে সরব উপজাতিরা।