মণিপুরে হিংসার আবহে ৬ থানার এলাকায় ফের AFSPA প্রয়োগ

মণিপুরে (Manipur) ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার মাঝে কেন্দ্রীয় সরকার ছয়টি থানার অধীনস্থ এলাকায় পুনরায় সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন (AFSPA) চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র…

Mob Destroys Assam Rifles Camp in Manipur; Curfew Imposed in Parts of Kangpokpi District

short-samachar

মণিপুরে (Manipur) ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার মাঝে কেন্দ্রীয় সরকার ছয়টি থানার অধীনস্থ এলাকায় পুনরায় সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন (AFSPA) চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজ্যের কিছু অংশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কারণে অস্থির পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

   

এর আগে মণিপুর সরকারের নির্দেশনায় AFSPA পুরো রাজ্যে চালু থাকলেও ১৯টি থানা এলাকা ছাড় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে সেকমাই ও লামসাং (ইম্ফল পশ্চিম জেলা), লামলাই (ইম্ফল পূর্ব জেলা), জিরিবাম (জিরিবাম জেলা), লেইমাখং (কাংপোকপি জেলা) এবং মোইরাং (বিশনুপুর জেলা) থানার অধীনস্থ এলাকাগুলিতে পুনরায় AFSPA চালু করা হয়েছে। আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই এলাকাগুলিতে AFSPA বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

সংঘর্ষ ও অপহরণের প্রেক্ষাপট
গত সোমবার জিরিবাম জেলার একটি থানায় এবং এর পাশের একটি সিআরপিএফ ক্যাম্পে অতর্কিতে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত পাল্টা অভিযান শুরু করে, যেখানে ১১ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়। এই ঘটনার পরের দিন, একই জেলা থেকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ছয়জন সাধারণ নাগরিককে অপহরণ করে। অপহৃতদের মধ্যে নারীরা এবং শিশুরাও রয়েছে। দুইজন নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করার ঘটনাও ঘটেছে।

মেইতেই সম্প্রদায়ের সদস্যদের উপর হামলা
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, অপহৃতদের মধ্যে ১৩ জন মেইতেই সম্প্রদায়ের। এরা জুন মাসে সহিংসতার কারণে নিজেদের বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে সিআরপিএফ ক্যাম্পের কাছে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সন্ত্রাসীরা তাদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করে।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় AFSPA-এর প্রয়োজনীয়তা
মণিপুরে AFSPA পুনরায় চালু করার বিষয়ে কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, এলাকাগুলিতে নিরাপত্তার অবনতি হয়েছে। তাই এই আইন পুনরায় কার্যকর করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। AFSPA-এর আওতায় নিরাপত্তা বাহিনীকে বাড়তি ক্ষমতা দেওয়া হয়, যার মাধ্যমে তারা অশান্ত এলাকাগুলিতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারে। এই সিদ্ধান্তে রাজ্যের পরিস্থিতি শান্ত হবে বলে কেন্দ্রীয় সরকারের আশা।