সংবিধান অনুসারে ভারত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। তবে চমকপ্রদ নতুন সংসদ ভবন (Central Vista) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি ধর্মীয় রীতিতে মোড়া কেন এই প্রশ্নে বিদ্ধ বিজেপি নেতৃত্বে চলা এনডিএ সরকার। রবিবার গঙ্গার জল ছিটিয়ে ধর্মীয় মাঙ্গলিক রীতির মধ্য দিয়ে ষে সেন্ট্রাল ভিস্তা (নতুন সংসদ) উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Modi)। ইতিহাসবিদরা বলছেন এই দিনটি রাজনৈতিক হিন্দুত্ববাদী বলে পরিচিত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও পরে ব্রিটিশ সরকারের কাছে বারবার ক্ষমা প্রার্থনাকারী বিনায়ক দামোদর সাভারকারের জন্মদিন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী ও বিজেপিকে কটাক্ষ করে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেন, নতুন সংসদ ভবনের প্রয়োজন ছিল না। স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা অংশই নেয়নি, তারা এখন দেশের ইতিহাস নতুন করে লিখতে চাইছে।নতুন সংসদ ভবন তৈরি সেই চেষ্টা।
পিটিআই জানাচ্ছে, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে বাদ দিয়ে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনে অনড় বিজেপি। সরকারের এই অবস্থানের কড়া নিন্দা করেছে একাধিক দল। অনুষ্ঠান বয়কটও করেছে বিভিন্ন দল।
ইউএনআই জানাচ্ছে, ঐতিহ্যবাহী সংসদ ভবনের কাছেই ৬৪ ৫০০ স্কোয়ার মিটার জায়গা জুড়ে ত্রিভুজের মতো পাঁচতলা নতুন সংসদ ভবন সেন্ট্রাল ভিস্তা তৈরি হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, রবিবার নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকবে সেঙ্গোল দণ্ড। প্রাচীন এক রীতি অনুযায়ী এই ধরণের দণ্ড স্বাধীনতার পর দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহরুজির হাতে সমর্পণ করা হয়েছিল। তবে সেঙ্গোল নিয়ে তাঁর দাবি তীব্র বিতর্ক তৈরি করেছে। শাহর দাবি মতো সেঙ্গোল দণ্ড আদৌ গণতন্ত্রের প্রতীক নয় বলেই জানাচ্ছেন একাধিক ইতিহাসবিদ।
আরও অভিযোগ, দক্ষিণ ভারতে ক্ষমতাহীন বিজেপি ভাবাবেগ হাতিয়ার করছে। এর মাধ্যমে ধর্মীয় রীতিতে নতুন সংসদ ভবনের শুরু করছে মোদী সরকার। সেঙ্গোল স্থাপনা অনুষ্ঠানের জন্য দক্ষিণ ভারত থেকে সাধু সন্তদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাঁদের সাথে দেখা করে প্রধানমন্ত্রী মোদী আশীর্বাদ চান। সংসদ কক্ষে স্থাপনের জন্য তাঁরা মন্ত্রোচ্চারণ করে সেঙ্গোল তুলে দেন প্রধানমন্ত্রীর হাতে।