ক্ষুদ্র-অতি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের দুর্ঘটনায় বা আত্মহত্যার তথ্য নেই কেন্দ্রের কাছে

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা কতজন ব্যক্তি ২০২০ সালে দুর্ঘটনাজনিত কারণে প্রাণ হারিয়েছেন বা আত্মহত্যা করেছেন? ওই সমস্ত ব্যক্তিদের…

accidents and suicides enterprises

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা কতজন ব্যক্তি ২০২০ সালে দুর্ঘটনাজনিত কারণে প্রাণ হারিয়েছেন বা আত্মহত্যা করেছেন? ওই সমস্ত ব্যক্তিদের পরিবারকে কি কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষতিপূরণ দিয়েছে?

বিভিন্ন অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের যাতে এ ধরনের অকালে প্রাণ না যায় তা নিশ্চিত করতে সরকার কি কোনও পরিকল্পনা নিয়েছে? এই সমস্ত শিল্পের সঙ্গে যুক্তদের করোনাজনিত কারণে সাহায্য করতে সরকার কত টাকা বরাদ্দ করেছে? বরাদ্দকৃত অর্থের কি পরিমাণ অর্থ খরচ হয়েছে? বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প মন্ত্রকের কাছে এই প্রশ্নগুলির উত্তর জানতে চান তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রশ্নের উত্তরে সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী নারায়ন রানে জানিয়েছেন৷ এধরনের শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কতজন ব্যক্তি দুর্ঘটনাজনিত কারণে বা আত্মহত্যা করে প্রাণ হারিয়েছেন সে বিষয়ে কোনও তথ্য মন্ত্রকের কাছে নেই। স্বাভাবিকভাবেই এই সমস্ত মৃতদের পরিবারকে কোনওরকম আর্থিক সাহায্যের দেওয়ার প্রস্তাব সরকারের কাছে নেই। তবে এই সমস্ত প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষরা করোনাজনিত কারণে যে সমস্যায় পড়েছেন তা দূর করতে সরকার একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে।

এ ধরনের প্রকল্পের সঙ্গে যুক্তদের সাহায্য করতে সরকার ‘আত্মনির্ভর ভারত অভিযান’ প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পে বিভিন্ন অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সাহায্য করতে সাড়ে চার লক্ষ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম হিসেবে বরাদ্দ করা হয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা। একই সঙ্গে ৫০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এসআরআই তহবিলে।

মন্ত্রী আরও বলেন, ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে চাঙ্গা করতেও কেন্দ্র একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে। এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্তদের করোনাজনিত কারণে ত্রাণ দিতে সরকার চলতি বছরের নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত ২.৮২ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করেছে। একই সঙ্গে ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমে সরকার এপর্যন্ত ৮১.৪৭ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন করেছে।