দেশের সুরক্ষা আরও মজবুত করতে ‘সুদর্শন চক্র মিশন’-এর ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

স্বাধীনতা দিবসের সকালে লালকেল্লার প্রাচীর থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)  ঘোষণা করলেন এক যুগান্তকারী প্রতিরক্ষা প্রকল্পের কথা— ‘সুদর্শন চক্র…

Celebrations Across West Bengal and Kolkata, PM Modi’s Address from Red Fort

স্বাধীনতা দিবসের সকালে লালকেল্লার প্রাচীর থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)  ঘোষণা করলেন এক যুগান্তকারী প্রতিরক্ষা প্রকল্পের কথা— ‘সুদর্শন চক্র মিশন’। এটি হবে একটি অত্যাধুনিক দেশীয় প্রযুক্তিনির্ভর অস্ত্র ব্যবস্থা, যা শুধু শত্রুর আক্রমণ প্রতিরোধই নয়, প্রয়োজনে তাদের উপর নির্ভুল পাল্টা আঘাত হানতেও সক্ষম হবে।

প্রধানমন্ত্রীর(Narendra Modi)  বক্তব্য অনুযায়ী, এই সুদর্শন চক্র মিশন বাস্তবায়নের মূল উদ্দেশ্য দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে এমন এক উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া, যেখানে আকাশপথ, স্থলপথ ও সমুদ্রপথ— তিন ক্ষেত্রেই শত্রুর যেকোনও আক্রমণ মুহূর্তের মধ্যে শনাক্ত ও প্রতিহত করা সম্ভব হবে। শুধু সামরিক সুরক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না এই প্রযুক্তি; বরং দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে— যেমন বড় শহর, কৌশলগত শিল্পাঞ্চল, বিদ্যুৎকেন্দ্র, পারমাণবিক স্থাপনা এবং সীমান্তবর্তী এলাকায়— এটি স্থাপন করা হবে, যাতে সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত হয়।

   

মোদীর(Narendra Modi)  দাবি, ২০৩৫ সালের মধ্যেই ‘সুদর্শন চক্র’ সম্পূর্ণ প্রস্তুত হবে এবং ভারত নিজস্ব প্রযুক্তি ও উৎপাদন ক্ষমতার মাধ্যমে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। বিদেশি আমদানির উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আত্মনির্ভর প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থানকে আরও মজবুত করাই এই মিশনের অন্যতম লক্ষ্য।

শত্রু প্রতিরোধ ও নির্ভুল আঘাতের ক্ষমতা

প্রধানমন্ত্রী(Narendra Modi)  জানান, সুদর্শন চক্র এমনভাবে ডিজাইন করা হবে যাতে শত্রুর মিসাইল, ড্রোন কিংবা যুদ্ধবিমান আক্রমণের আগেই সেগুলিকে শনাক্ত করা যায়। উন্নত রাডার, সেন্সর নেটওয়ার্ক ও এআই-নির্ভর কন্ট্রোল সিস্টেমের মাধ্যমে এটি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নিতে পারবে। এছাড়াও, এটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল হামলার ক্ষমতাও রাখবে— যা শত্রুর অস্ত্রভাণ্ডার, সামরিক ঘাঁটি বা আক্রমণাত্মক সরঞ্জাম ধ্বংস করতে সহায়ক হবে।

সামরিক ও বেসামরিক উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহার

Advertisements

এই প্রকল্প শুধু সীমান্ত রক্ষার জন্য নয়, দেশের অভ্যন্তরেও নিরাপত্তা জোরদার করবে। সন্ত্রাসী হামলা, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা বা বৃহৎ জনসমাবেশের সময় আকাশপথের সম্ভাব্য হুমকি প্রতিহত করতেও এই সিস্টেম ব্যবহৃত হবে। ফলে এটি একদিকে যেমন প্রতিরক্ষাবাহিনীর জন্য এক বড় হাতিয়ার হবে, তেমনি সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

প্রতিরক্ষা ও সমাজকল্যাণ— দুই দিকেই জোর

লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)  যে বার্তা দিলেন, তা স্পষ্ট— একদিকে দেশকে আধুনিকতম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় সজ্জিত করা, অন্যদিকে সমাজের কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে ঐক্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। ‘সুদর্শন চক্র মিশন’ হবে ভারতের আত্মনির্ভর প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির প্রতীক, আর RSS-এর প্রশংসা দেশের সামাজিক শক্তিকে মর্যাদা দেওয়ার উদাহরণ।

মোদীর (Narendra Modi)  ভাষণ দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে এই প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়, তবে ভারত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে এবং বিশ্ব মঞ্চে আরও শক্ত অবস্থান তৈরি করবে।