উত্তরপ্রদেশে ব্যবসায়ীর মৃত্যুর ঘটনায় ৬ পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের সিবিআইয়ের

News Desk: সেপ্টেম্বর মাসে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের হোটেলে মণীশ গুপ্তা নামে এক ব্যবসায়ীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল। অভিযোগ ওঠে, ওই ব্যবসায়ীকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কয়েকজন কর্মী পিটিয়ে খুন…

UP-Police

News Desk: সেপ্টেম্বর মাসে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের হোটেলে মণীশ গুপ্তা নামে এক ব্যবসায়ীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল। অভিযোগ ওঠে, ওই ব্যবসায়ীকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কয়েকজন কর্মী পিটিয়ে খুন করেছে। ব্যবসায়ী মণীশ গুপ্তার মৃত্যু নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়। এরপরেই অভিযুক্ত ৬ পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেই ছয় পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে এবার খুনের মামলা দায়ের করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই।

রাজ্য জুড়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে যোগী সরকার মণীশ গুপ্তা হত্যা মামলার তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তের পর সিবিআই ওই ছয় পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করায় বিষয়টি চাঞ্চল্যকর মোড় নিল বলেই মনে করা হচ্ছে।

ওই ব্যবসায়ী খুনের পর বিরোধীরা অভিযোগ করেছিল, মুখ্যমন্ত্রী যোগী দোষীদের আড়াল করছেন। মৃতের পরিবার স্পষ্ট জানায়, ৬ পুলিশ কর্মী মণীশকে পিটিয়ে খুন করেছে। এমনকী, গুরুতর জখম মণীশকে ঠিক সময়ে তারা হাসপাতালেও নিয়ে যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও মাণীশের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মেলে।

ওই ঘটনার কিছুদিন পরেই আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং একটি ভিডিওয়ো পোস্ট করেছিলেন । ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছিল, গোরক্ষপুরের জেলাশাসক বিজয়কিরণ আনন্দ মৃত ব্যবসায়ীর পরিবারকে মামলা না করার জন্য অনুরোধ করছেন। শুধু জেলাশাসক নন, জেলার পুলিশ সুপারও মৃতের স্ত্রীকে একইভাবে মামলা তুলে নেওয়ার কথা বলছেন ওই ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই যোগী সরকারের ওপর আরও চাপ বাড়ে।

ওই ব্যবসায়ীর পরিবারের চাপ বিরোধীদের হই হট্টগোলের কারণে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করেছিল যোগী সরকার। আর কয়েক মাস পরেই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতে যোগী সরকার তড়িঘড়ি ৬ পুলিশকর্মী সাসপেন্ড করে। কিন্তু তাতেও বিরোধীদের মুখ বন্ধ না হওয়ায় ওই খুনের মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দেন যোগী। মণীশ গুপ্তা খুনের তদন্তভার হাতে নিয়ে প্রাথমিক তদন্তের পরই সিবিআই ছয় পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করল।