৩০০ কোটি টাকার ঘুষ মামলা, প্রাক্তন রাজ্যপালের বাড়িতে CBI হানা

বৃহস্পতিবার সাত সকালে ফের রাজ্যে হানা দিল সিবিআই (CBI)। এবার এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে প্রাক্তন রাজ্যপাল। জানা গিয়েছে, আজ জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল…

cbi

বৃহস্পতিবার সাত সকালে ফের রাজ্যে হানা দিল সিবিআই (CBI)। এবার এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে প্রাক্তন রাজ্যপাল। জানা গিয়েছে, আজ জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের (Satyapal Malik) বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই।

পাশাপাশি দিল্লির আরও ২৯টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। কিরু জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতির বিষয়ে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে। সত্যপাল মালিক রাজ্যপাল থাকাকালীন দাবি করেছিলেন যে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের দুটি ফাইল সাফ করার জন্য তাকে ৩০০ কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। অভিযানের পর মালিক টুইট করে বলেন, ‘আমি কৃষকের ছেলে, আমি এরকম তল্লাশি অভিযানকে ভয় পাব না।’ ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর রাজস্থানের ঝুনঝুনুতে এক অনুষ্ঠানে মালিক বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল থাকাকালীন তাঁকে কোটি কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এ সময় দুটি ফাইল তার কাছে আসে। তাঁদের মধ্যে একজন বড় শিল্পপতি এবং অন্যজন মেহবুবা মুফতি এবং বিজেপির জোট সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। মালিক বলেছিলেন যে তার সচিবরা তাকে বলেছিলেন যে একটি কেলেঙ্কারি হয়েছিল, যার পরে তিনি দুটি চুক্তি বাতিল করেছিলেন।

মালিক আরও বলেছিলেন যে দুটি ফাইলের জন্য তাকে ১৫০ কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমি বলেছিলাম পাঁচটা কুর্তা-পাজামা নিয়ে এসেছি, ওটুকুই নিয়ে যাব। সিবিআই যখন প্রশ্ন করবে, যাঁরা এই প্রস্তাব দিয়েছেন, তাঁদেরও নাম বলব। ‘

এই মামলায় ২টি এফআইআর দায়ের করেছিল সিবিআই। প্রথম এফআইআরটি প্রায় ৬০ কোটি টাকার চুক্তি ইস্যু করার ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগের সাথে সম্পর্কিত। ২০১৭-১৮ সালে জম্মু ও কাশ্মীর এমপ্লয়িজ হেলথ কেয়ার ইনসিওরেন্স স্কিমের বরাত পাইয়ে দেওয়ার জন্য একটি বিমা কোম্পানির কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে এই টাকা নেওয়া হয়েছিল।

দ্বিতীয় এফআইআরে ২০১৯ সালে কিরু হাইড্রো ইলেকট্রিক পাওয়ার প্রজেক্টের (এইচইপি) সিভিল ওয়ার্কসের জন্য ২,২০০ কোটি টাকার বরাত একটি বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতি সম্পর্কিত। দুটি ঘটনারই তদন্ত করছে সিবিআই।