এক ইডিতে রক্ষে পাওয়া গেল না, এবার দোসর সিবিআই। সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal)। এবার আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির পাশাপাশি তাঁকে গ্রেফতার করল আরেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইও।
সোমবারই তিহার জেলে গিয়ে কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই-এর বিশেষ আধিকারিক দল। মঙ্গলবার দিন সেই তিহারেই তাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ফলে একসাথে এখন দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গ্রেফতারিতে রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো।
যদিও এর মাঝেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ তৈরি হয়েছিল কেজরিওয়ালের। আবগারি দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগে ইডির দায়ের করা মামলাতে তাকে জামিন দিয়েছিল দিল্লির রাউজ এভিনিউ কোর্ট। কিন্তু সেই স্বস্তি ছিল সাময়িক। নিম্ন আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করে ইডি। সেখানে নিম্ন আদালতের রায়ের উপরে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। ফলে জামিন হতে হতেও হল না কেজরিওয়ালের। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ছিল ২৫ শে জুন।
এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের দরজায় কড়া নাড়লেও কেজরির আবেদনে কর্ণপাত করেনি দেশের শীর্ষ আদালত। অবশেষে দিল্লি হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, গোটা মামলাতে জামিনের বিরোধিতা করার জন্য ইডির আইনজীবীরা পর্যাপ্ত সময় পায়নি। অতএব জামিনের আদেশের স্থগিতাদেশের সময়সীমা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
সেই একই দিনে আরও একটা বড় দুঃসংবাদ এল কেজরিওয়ালের জন্য। এবার আরেক কেন্দ্র তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই গ্রেফতার করল কেজরিওয়ালকে। লোকসভা নির্বাচনের আগে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। তাকে সামনে রেখে প্রচারে ঝড় তোলার চেষ্টাও করেছিল ইন্ডিয়া শিবির। এমনকি দিল্লির লোকসভা নির্বাচনের সপ্তাহখানেক আগেই ২০ দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছিলেন কেজরিওয়াল।
মনে করা হচ্ছিল এই গ্রেপ্তারির ঘটনাতে দিল্লির নির্বাচনে বড় রকমের প্রভাব পড়তে পারে। অনেকে মনে করেছিলেন যে বিজেপির ভোট ব্যাংকে হয়ত ধস নামবে। অন্তর্বর্তী জামিনে থাকা কেজরি প্রচারেও ঝড় তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৯-এর মত ২০২৪-এও দিল্লির ৭ লোকসভা আসনে আপের প্রাপ্তি সেই ‘শূন্য’ই। সব মিলিয়ে লোকসভায় ফের ব্যর্থ কেজরিওয়ালের ম্যাজিক। এবার শুধু সেই রাজনৈতিক ব্যর্থতাই নয়, জামিন পেতে পেতেও না পাওয়া, এবং সেইসঙ্গে আরও একটা গ্রেফতারি। সবমিলিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সময়টা কিন্তু মোটেও ভালো যাচ্ছে না।