CAA: নাগরিকত্ব দিয়ে বিরোধীদের অস্ত্র ভোঁতা করল মোদী সরকার

CAA

ভোটের আগে চালু আইন (CAA)। ভোটের মাঝেই আইন মেনে শুরু নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের আওতায় নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। প্রথম দফায় নাগরিকত্ব পেলেন ১৪ জন। বুধবার তাঁদের হাতে নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট তুলে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় কুমার ভাল্লা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, নাগরিক্তব দিয়ে সিএএ নিয়ে বিরোধীদের অস্ত্র ভোঁতা করে দিল মোদি সরকার।

Advertisements

২০১৬ সালে সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ করে মোদি সরকার। এরপর ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সংসদের দুই কক্ষেই পাস হয় বিল। তারপর উনিশের ডিসেম্বরেই রাষ্ট্রপতির সম্মতিতে আইনে পরিণত হয়। ২০১৯ সালের শেষে আইন তৈরি হলেও এত বছরেও তা চালু করতে পারেনি মোদী সরকার। এ নিয়ে অনেকের মনেই ক্ষোভ তৈরি হয়। পশ্চিমবঙ্গের মতুয়া সমাজও বারবার ক্ষোভ প্রকাশ করে।

এর মোকাবিলায় বারবার সিএএ-আশ্বাস দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। বিজেপির মতুয়া মুখ শান্তনু ঠাকুর গত মার্চে বলেন, ‘সিএএ হবে। ভোটের ঠিক আগেই হবে। আমরা আশাবাদীর কী আছে? ভোটের একদিন আগে, দুদিন আগে, তিন দিন আগে হবে। আমি আত্মবিশ্বাসী, সিএএ হচ্ছে।’

মোদী সরকারের মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তাঁর বক্তব্যের কয়েকদিনের মধ্যেই চালু সিএএ। এ নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। ভোটের প্রচারে প্রতি সভা থেকে বিজেপিকে সিএএ নিয়ে আক্রমণ করেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি করেন, বাংলায় সিএএ করতে দেব না। আবেদন করলেই নাগরিকত্ব বাতিল হয়ে যাবে বলেও দাবি করেন। এরই মাঝে নয়া আইনে ১৪ জনকে নাগরিকত্ব দিয়েছে ভারত সরকার।

Mamata Banerje: বড় ঘোষণা মমতার, বিজেপি হারলেই I.N.D.I.A-কে বাইরে থেকে সমর্থন করবে তৃণমূল

Advertisements

তৃণমূলের সুরেই বাংলায় সিএএ নিয়ে সুর চড়ায় বাংলাপক্ষ। সংগঠনের সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, ‘অমিত শাহ বনগাঁতে বলেছে, সিএএ নিয়ে মতুয়াদের ভুল বোঝানো হচ্ছে, নাগরিকত্ব নিয়ে সমস্যা হবে না। আবার মিথ্যে বলছে। আমরা অমিত শাহ ও শান্তনু ঠাকুরকে চ্যালেঞ্জ করছি আইনটা পড়ে শোনাও৷ বাকিটা মতুয়ারা বুঝে নেবে। বিজেপির অমিত শাহ ও শান্তনু ঠাকুরকে মতুয়ারা না শুধু, বিজেপির নেতা ও বিধায়করাও বিশ্বাস করে না। তাই ৬০ দিন পেরিয়ে গেলেও কেউ আবেদন করেনি।’ বনগাঁয় নাগরিকত্বের আবেদন এবং নাগরিকত্ব পেতে শান্তনু ঠাকুর সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন অমিত শাহ।

Lok Sabha Election: আচমকা মনোনয়ন তুলে নিলেন বারাসতের প্রার্থী কাকলি

গত মার্চ থেকে দেশজুড়ে চালু সিএএ। সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। এই আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় অত্যাচারের কারণে ভারতে এলে তাঁদের আশ্রয় দেওয়া হবে। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে আসা হিন্দু, পারসি, জৈন, বৌদ্ধ, শিখ এবং খ্রিষ্টানদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত সরকার। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠরা ভারতে এলে তাঁদের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।