সম্প্রতি নদিয়া জেলার ধানতলা থালা, (BSF) দত্তফুলিয়া, হাঁসখালি, কৃষ্ণগঞ্জ থানার বিজয়পুর এলাকায় একাধিক জায়গার জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই কাজের লক্ষ্য ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে(BSF) কাঁটাতারের বেষ্টনী নির্মাণ এবং সীমান্তরক্ষায় আরও বেশি কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া। বিশেষ করে(BSF) চাপড়া থেকে করিমপুর পর্যন্ত এই জমি অধিগ্রহণের কাজ এখন জোরকদমে চলছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, কাঁটাতারের বেড়া তৈরির মাধ্যমে সীমান্তের নিরাপত্তা আরও মজবুত হবে এবং এই পদক্ষেপের ফলে তাঁরা আরও নিরাপদে থাকতে পারবেন।(BSF)
জমির বাজারমূল্য থেকে ৬ গুণ বেশি মূল্য(BSF)
এই জমি অধিগ্রহণের মধ্যে সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হলো,(BSF) জমির মালিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অতিরিক্ত টাকা পাঠানো হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক জমিদাতা(BSF) জানিয়েছেন যে, তাঁদের জমির জন্য বাজারমূল্য থেকে প্রায় ছয় গুণ বেশি টাকা দেওয়া হয়েছে। জমিদাতারা অত্যন্ত খুশি, কারণ জমির ভালো(BSF) দাম পাওয়ার ফলে তাঁরা তাদের জমি প্রদান করতে আগ্রহী হয়েছেন। সীমান্তের কৃষকরা বিশেষত এই জমি অধিগ্রহণের কাজে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক। জমি বিক্রি করে তারা ভালো অর্থ উপার্জন করছেন, যা তাদের জীবিকা উন্নয়নে সহায়ক হবে।(BSF)
একটি উদাহরণ হিসেবে, একজন কৃষক বলেছেন,(BSF) “এতদিন জমি বিক্রি করার জন্য আমরা ভালো দাম পেতাম না। কিন্তু এখন আমাদের জমির মূল্য পাওয়ার ফলে আমরা আনন্দিত। এসবের ফলে আমাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থাও অনেক ভালো হবে।”
নবান্নের নির্দেশে দ্রুত জমি হস্তান্তরের কাজ(BSF)
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের কাজ দ্রুত শুরু করতে রাজ্য সরকার(BSF) ও কেন্দ্রীয় বাহিনী একযোগে কাজ করছে। নবান্নের পক্ষ থেকে বিএসএফ (বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী) কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তারা দ্রুত জমি অধিগ্রহণ করে সুরক্ষিত সীমান্ত নির্মাণের কাজ শুরু করতে পারে। বিএসএফ (BSF) এবং রাজ্য সরকার, উভয় পক্ষই এই বিষয় নিয়ে একযোগভাবে কাজ করছে। ভূমি ও ভূমি সংস্কারের অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রলয় রায় চৌধুরী জানিয়েছেন, “জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে কিছু বোঝাপড়া-আপোসের ব্যাপার থাকে। বিএসএফ-এর(BSF) আধিকারিকরাও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। বিএসএফ নিজেই রিভিউ করছে। আশা করছি, জমি কেনার বিষয়টা যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব মিটিয়ে ফেলতে পারব।(BSF)
সীমান্ত নিরাপত্তা: এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি(BSF)
বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতি এবং সীমান্তবর্তী এলাকায়(BSF) অনুপ্রবেশের আশঙ্কা বারবার মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিএসএফের জন্য। যদিও অনেক জায়গাতেই কাঁটাতারের বেড়া ছিল না, তবে এই পদক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশ সীমান্তের অরক্ষিত অংশগুলো রক্ষিত হবে এবং অনুপ্রবেশকারীদের প্রবেশ রোধ করা(BSF) সম্ভব হবে। এমনকি, এটি স্থানীয় মানুষদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং তারা বিনা শঙ্কায় নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন।(BSF)
একটি স্থানীয় বাসিন্দা এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন, “তার কাঁটা যদি হয়ে যায়, তাহলে সত্যিই অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকতে পারবে না। আমরাও অনেকটা সুরক্ষিত থাকব। কিন্তু এতদিন জমির দাম পেতাম না। (BSF) খালি হাতে সরতাম কোথায়?” এটি স্পষ্ট যে, সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় বাস করা মানুষদের জন্য এই জমি অধিগ্রহণ এবং কাঁটাতারের কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সীমান্তের অরক্ষিত এলাকা রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ(BSF)
বাংলাদেশের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশের শঙ্কা বৃদ্ধি পেয়ে ছিল। বিশেষত যেখানে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা কাঁটাতারের বেড়া ছিল না, সেখানে (BSF) অনুপ্রবেশকারীরা সহজেই প্রবেশ করতে পারত। তাই কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের উদ্যোগে, বিএসএফ এখন সীমান্তের(BSF) অরক্ষিত জায়গাগুলোকে সুরক্ষিত করতে তৎপর হয়ে উঠেছে। এর ফলে না শুধু ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা হবে, বরং সেই(BSF) এলাকায় বসবাসকারী সাধারণ মানুষও নিরাপদে থাকতে পারবেন।
এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, সীমান্তে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব হবে এবং(BSF) ভারতীয় ভূখণ্ডের নিরাপত্তা আরও মজবুত হবে। এই পদক্ষেপের ফলে কেবল সীমান্তরক্ষার কাজ নয়, একই সঙ্গে স্থানীয় কৃষকদেরও উন্নতি হবে, যাদের জমি বিক্রির মাধ্যমে আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।