কোচবিহার BSF ক্যাম্পেই মেয়েকে ‘খুন’ করা হয়েছে, হিমন্তের কাছে ন্যায়বিচার চাইলেন মা

অসমের কামরূপ নিবাসী BSF রক্ষী ধৃতশ্রী রাভার মৃত্যু ঘিরে ক্রমে বিতর্ক তুঙ্গে। গত ২০ মার্চ পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে বিএসএফ ক্যাম্পে ধৃতশ্রীর ঝুলন্ত দেহ মিলেছিল।

BSF personnel standing near the body of a young girl who was allegedly killed at a BSF camp in Coach Behar, as Assam Chief Minister Himanta Biswa Sarma visits the site.

অসমের কামরূপ নিবাসী BSF রক্ষী ধৃতশ্রী রাভার মৃত্যু ঘিরে ক্রমে বিতর্ক তুঙ্গে। গত ২০ মার্চ পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে বিএসএফ ক্যাম্পে ধৃতশ্রীর ঝুলন্ত দেহ মিলেছিল। মৃতের পরিবারের দাবি, পরিকল্পিত খুন করা হয়েছে মেয়েকে। অভিযোগ, ধৃতশ্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ চাপা দিতে চাইছে বিএসএফ। মৃত সীমান্তরক্ষীর মা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার (Assam CM imanta Biswa Sarma) কাছে ন্যায়বিচার চেয়ে চিঠি দিলেন। একইসাথে কোচবিহারের পুল্ডিবাড়ি থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

বিএসএফ ক্যাম্পেই রক্ষী ধৃতশ্রী রাভার অস্বাভাবিক মৃত্যুর জেরে অসমের রাভা সংগঠন ক্ষুব্ধ। অভিযোগ, অসমের মেয়েরা দেশ রক্ষায় সীমান্তে থাকেন। আর তাদেরই নিরাপত্তা নেই। ধৃতশ্রী রাভার মৃত্যুর পর থেকে বিএসএফ ক্যাম্পের অন্দরে মহিলা রক্ষীদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যদিও বিএসএফ নীরব বলে অভিযোগ। কোচবিহারের পুন্ডিবাড়িতে চাপা উত্তেজনা ছড়িয়ে আছে।

বিএসএফ কর্মী ধৃতশ্রী রাভার ক্যারাটে প্রশিক্ষণ ছিল। তিনি ২০১৭ সালে বিএসএফ-এ যোগ দিয়েছিলেন। মেঘালয়ের তুরা বিএসএফ ক্যাম্পে ছিলেন। একটি টুর্নামেন্টের জন্য কোচবিহারে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। সেখানেই মৃত্যু হয় ধৃতশ্রীর। বিএসএফ ক্যাম্পেই ধৃতশ্রী রাভার ঝুলন্ত মৃতদেহ মিলেছিল।

ধৃতশ্রীর পরিবার কোচবিহারের পুন্ডিবাড়ি থানায় যে এফআইআর দায়ের করেছে তাতে বিএসএফের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এফআইআরে লেখা হয়েছে, ধৃতশ্রীর দেহে আঘাতের স্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে। তার পা মাটিতে স্পর্শ করেছিল। কে তার দেহ নামিয়েছে। তার মৃত্যুর পর কারা ধৃতশ্রীর ফোন ব্যবহার করেছে সে সম্পর্কে বিএসএফ তথ্য দেয়নি। ধৃতশ্রীর মা ও বোনের অভিযোগ, পরিকল্পিত খুন। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার কাছেও এই এফআইআর কপি পাঠানো হয়েছে।

মৃত বিএসএফ রক্ষী ধৃতশ্রীর মা লীলা রাভার অভিযোগ, গত ১৯ মার্চ মেয়ের সাথে ফোনে কথা বলেছিলাম। আর ২০ মার্চ সকাল থেকে তার ফোন বন্ধ ছিল। পরে একজন ফোন ধরে বলে ধৃতশ্রী আত্মহত্যা করেছে। অভিযোগ, বিএসএফ কর্মী অক্ষয় সুপেকার ও লরেন্স বারবার মেয়েকে উত্যক্ত করত। তাকে খুন করা হয়েছে।