অঙ্গ দানের (Organ Donation) চেয়ে বড় কোন দান নেই, বলা হয়ে থাকে যে তার অঙ্গ দান করেছে সে সব দান করেছে। অঙ্গ দান (Organ Donation) করে আপনি অনেক মানুষের জীবন বাঁচাতে পারেন। এই কারণেই ভারত সরকার অঙ্গ দান সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করছে যাতে চলে যাওয়ার সময়, আপনি অনেক মানুষকে নতুন জীবনের উপহার দিতে পারেন এবং মৃত্যুর পরেও মানুষের মনে স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারেন। একই কাজ করেছেন বিশাখাপত্তনমের এক ব্যক্তি।
শ্রীকাকুলাম জেলার সোমপেতার বাসিন্দা ৪১ বছর বয়সী জগদীশ ২২ অক্টোবর হঠাৎ বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাকে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তার ব্রেন ডেড (Brain Dead) হয়েছে বলে জানান। বাড়ির একমাত্র রোজগারের ব্যক্তি ছিলেন জগদীশ। চিকিৎসকরা তাকে বাঁচানোর জন্য তিন দিন ধরে প্রাণপণ চেষ্টা করলেও মস্তিষ্কে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার জীবন বাঁচানো যায়নি। এমতাবস্থায় চিকিৎসা কর্মীদের বোঝানোর পর জগদীশের স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও আত্মীয়রা জগদীশের অঙ্গ দান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। গভীর শোকের মধ্যেও তার পরিবার উদারতা দেখিয়ে মানবতাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।
অঙ্গ দান করে তিনজনের জীবন বাঁচিয়েছেন
পরিবারের কাছ থেকে অঙ্গদানের (Organ Donation) অনুমতি পাওয়ার পর চিকিৎসকের দল তৎক্ষণাৎ জগদীশের অঙ্গ সংগ্রহ শুরু করে। তার কিডনি ও ফুসফুস সফলভাবে অপসারণ করা হয়েছে এবং প্রোটোকল অনুযায়ী অগ্রাধিকার তালিকা অনুযায়ী তিনজনকে সেই অঙ্গ দান করা হয়েছে।
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গত কয়েক বছরে দেশে অঙ্গদানের জন্য মানুষের আগ্রহ দেখা দিয়েছে এবং লোকেরা স্বেচ্ছায় তাদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের অঙ্গ দান করার জন্য ভীষণভাবে এগিয়ে এসেছে। এসবই সম্ভব হয়েছে সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগের সচেতনতার কারণে।
জগদীশের পরিবার তাদের শোকের সময়েও আরও তিনজনের জীবনে সুখ ফিরিয়ে এনে একটি প্রশংসনীয় কাজ করেছে, তাদের এই সিদ্ধান্ত অন্যদের জন্য একটি উদাহরণ হিসাবে দেখা উচিত।