ব্রহ্মসের রফতানি ভারত ফিলিপাইন চুক্তির সূচনা মাত্র: আন্তোনিও মোরালেস

ভারতের সঙ্গে ফিলিপাইন অস্ত্র রফতানির সূচনা হবে ব্রহ্মসের মাধ্যমে। তারপর নয়াদিল্লির থেকে আরও সাহায্য পাওয়ার আশায় রয়েছে ফিলিপাইন। শুক্রবার সাংবাদিকদের সামনে এমনই বার্তা তুলে ধরলেন…

ভারতের সঙ্গে ফিলিপাইন অস্ত্র রফতানির সূচনা হবে ব্রহ্মসের মাধ্যমে। তারপর নয়াদিল্লির থেকে আরও সাহায্য পাওয়ার আশায় রয়েছে ফিলিপাইন। শুক্রবার সাংবাদিকদের সামনে এমনই বার্তা তুলে ধরলেন সেদেশের বিদেশ মন্ত্রকের উপমন্ত্রী বা জুনিয়র ফরেন মিনিস্টার আন্তোনিও মোরালেস। মোরালেস বলেন দুই দেশের মধ্যে ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তিটিকে ফিলিপাইনের সামরিক বাহিনী, সরকার এবং জনগণ স্বাগত জানিয়েছে এবং ফিলিপাইনের সামরিক বাহিনীর আধুনিকীকরণে এটি সাহায্য করবে। ভারতের সৌজন্যে আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়া চলতে পারে বলে তিনি জানান আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করার জন্য আরও আলোচনা ও আরো চুক্তি করার প্রয়োজন।

ভারত ও ফিলিপাইন-দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতার আরেকটি লক্ষণ হল খুব শীঘ্রই ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার ম্যানিলা সফর করবেন। মোরালেস সামুদ্রিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরে শান্তি ও নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা বিষয়ে যোগাযোগ আরও বাড়বে।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

মোরালেস বলেন, ফিলিপাইনের সামনে চিন অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। সেসবের মোকাবিলা করতে দেশের অস্ত্র ভান্ডারের আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন। চীন দক্ষিণ চীন সাগরে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করেছে এবং সেগুলোতে আকাশপথ নির্মাণ করেছে। এতে ফিলিপাইনসের সার্বভোম অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। ফিলিপাইন আশা করে যে চীন দ্বীপপুঞ্জের সামরিকীকরণ বন্ধ করবে।

মোরালেস চীনকে অন্যতম প্রধান শক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। চীনের অর্থনীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বড় হবে। বেইজিং ম্যানিলার সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার। বৈদ্যুতিক গ্রিড সহ ফিলিপাইনের অর্থনীতিতে চীনের বড় অংশীদারিত্ব রয়েছে।

ভারত-আসিয়ান সম্মেলনের জন্য দিল্লিতে ফিলিপাইনের প্রতিনিধিত্ব করে মোরালেস বলেন ডিজিটালাইজেশন এবং কানেক্টিভিটি সহ সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা প্রয়োজন।