মঙ্গলবার দিল্লির দুই CRPF স্কুলে বোমা হামলার (delhi blast) হুমকি মিলেছে, যা রাজধানীজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। তবে শুধু এই দুই স্কুল নয়, সাকেটের জেলা আদালত, পাটিয়ালার আদালত এবং আরও একটি আদালতেও ই-মেল মারফৎ বোমা হামলার হুমকি পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় দিল্লির নিরাপত্তা সংস্থাগুলি তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
দিল্লির দ্বারকা এবং প্রশান্ত বিহারের দুই স্কুলেও বিস্ফোরণের হুমকি পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থা অবিলম্বে স্কুল ও আদালতের নিরাপত্তা জোরদার করেছে। স্কুলের আশেপাশের এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, এবং শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই ধরনের হুমকি পাওয়া মাত্রই স্থানীয় প্রশাসন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ই-মেল মারফত বোমা হুমকি দেওয়া এমন একটি কৌশল যা সাধারণত আতঙ্ক সৃষ্টি করতে ব্যবহৃত হয়। যদিও এই ধরনের হুমকিতে অনেক সময় বাস্তব বোমা থাকে না, তবুও নিরাপত্তা এবং জনসাধারণের নিরাপত্তার কারণে এগুলোকে খুবই গুরুতরভাবে নেওয়া হয়। দিল্লি পুলিশ, CRPF এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা একযোগে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। পুলিশ ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই স্কুল এবং আদালতের আশেপাশের এলাকায় সন্দেহজনক কোনো বস্তু বা ব্যক্তির উপস্থিতি পরীক্ষা করছে। এছাড়াও, স্কুল এবং আদালতের অভ্যন্তরে থাকা সকল শিক্ষার্থী ও কর্মীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক ও সামাজিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের হুমকি শুধুমাত্র আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্যই পাঠানো হতে পারে। তবে এটি দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি একটি চ্যালেঞ্জও। বিশেষ করে স্কুল ও আদালতকে লক্ষ্য করে হুমকি দেওয়া হলে এটি শিশু ও সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি হিসেবে ধরা হয়।
