আচমকায় বড় সমস্যায় মোদী! সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার দুয়ারে বিরোধীরা

লোকসভার উচ্চকক্ষে বড় বিপদে পড়ল এনডিএ জোট। এনডিএ-এর আসন সংখ্যা কমে হল ১০১, সংখ্যাগরিষ্ঠতার তুলনায় ১২টি আসন কম। এর মধ্যে বিজেপির আসন সংখ্যা কমে হয়েছে…

narendra modi

লোকসভার উচ্চকক্ষে বড় বিপদে পড়ল এনডিএ জোট। এনডিএ-এর আসন সংখ্যা কমে হল ১০১, সংখ্যাগরিষ্ঠতার তুলনায় ১২টি আসন কম। এর মধ্যে বিজেপির আসন সংখ্যা কমে হয়েছে ৮৬। এই অবস্থায় বিজেপির ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে বিরোধীরা। প্রসঙ্গত অর্থসংক্রান্ত যে কোনও বিল পাস করানোর ক্ষেত্রে রাজ্যসভার গুরুত্ব অপরিসীম। বলা ভাল, রাজ্যসভায় বিল পাস না করানো হলে সেই বিল কার্যকর হয় না। এই অবস্থায় বিজেপি তথা এনডিএ জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে কি বড় বিপদের মুখে? প্রশ্ন উঠেছে রাজনইতিক মহলে।

বিশেষভাবে সক্ষমের কোটায় চাকরি, পূজার পর এবার নজরে অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অভিষেক

   

একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের সূত্র ধরে জানা গিয়েছে, শনিবার রাজ্যসভায় রাকেশ সিন্‌হা, রাম শাকল, সোনাল মানসিংহ এবং মহেশ জেঠমলানির মেয়াদ সম্পূর্ণ হয়েছে। শাসকদল বিজেপির পরামর্শ অনুসারে এই চার জনকেই রাজ্যসভায় মনোনীত সদস্য হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন রাষ্ট্রপতি। চার জনের মেয়াদ পূরণ হওয়ায় ওই চার আসন খালি হল। রাজ্যসভায় বিজেপির সদস্যসংখ্যা কমে হল ৮৬। ২৪৫ আসনবিশিষ্ট রাজ্যসভায় বর্তমানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করার জন্য কোনও দল বা জোটের সঙ্গে ১১৩ জন সদস্যকে থাকতে হবে। এনডিএ-র সদস্যসংখ্যা এখন ১০১, সংখ্যাগরিষ্ঠতার তুলনায় ১২টি আসন কম।

বাড়ছে অনলাইনে খাবারের খরচ, সুইগি-জোমাটোর চার্জে লংজাম্প

অন্যদিকে বিরোধীদের ক্ষমতা কিন্তু কম নয়। জানা গিয়েছে এই মুহূর্তে বিরোধীরা ৮৭ জন রাজ্যসভার সাংসদ নিয়ে এনডিএ-এর ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে কংগ্রেসের হাতে রয়েছে ২৬টি আসন। তৃণমূলের হাতে ১৩টি আসন। আর আপ এবং ডিএমকের হাতে ১০টি করে আসন। তবে রাজ্যসভায় আরও বেশ আঞ্চলিক দল এতকাল বিভিন্ন ক্ষেত্রে এনডিএকে সমর্থন করে এসেছে। কিন্তু এই লোকসভা ভোটের পরে পাল্টে গিয়েছে বহু সমীকরণ। ড়িশার বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর নবীন পট্টনায়কের দল বিজে়ডি জানিয়েছে, তারা রাজ্যসভায় আর বিজেপিকে সমর্থন করবে না। সে ক্ষেত্রে রাজ্যসভায় এই ‘নিরপেক্ষ’ দলগুলির গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আগামী ৪৮ ঘণ্টায় তুমুল বৃষ্টির সম্ভাবনা, একাধিক রাজ্যে জারি ‘রেড’ অ্যালার্ট

বর্তমানে রাজ্যসভায় ২০টি আসন শূন্য রয়েছে। তার মধ্যে ১১টি আসনে চলতি বছরেই ভোট হওয়ার কথা। মহারাষ্ট্র, বিহার, অসমের দু’টি এবং হরিয়ানা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, ত্রিপুরার একটি করে রাজ্যসভার আসন রয়েছে এই তালিকায়।