CPIM সমর্থককে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত BJP

রাস্তার উপরেই শুরু হয়েছিল গণপিটুনি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে হামলা হয়। গণপ্রহারে জখম সিপিআইএম (CPIM) সমর্থকের মৃত্যু হয় রাস্তাতেই। আরও কয়েকজন জখম। এই ঘটনায় প্রবল উত্তপ্ত…

রাস্তার উপরেই শুরু হয়েছিল গণপিটুনি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে হামলা হয়। গণপ্রহারে জখম সিপিআইএম (CPIM) সমর্থকের মৃত্যু হয় রাস্তাতেই। আরও কয়েকজন জখম। এই ঘটনায় প্রবল উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে ত্রিপুরার রাজনৈতিক পরিমণ্ডল।এদিকে বিজেপির (BJP) তরফ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

বিরোধী দল সিপিআইএমের অভিযোগ, নিহত বেণু বিশ্বাসকে খুনে জড়িত শাসক বিজেপির সমর্থকরা। বৃহস্পতিবার এই ঘটনার পর শুক্রবার সকাল থেকে ত্রুিপুরার বিলোনিয়া কমলপুর প্রবল উত্তপ্ত।

শুক্রবার সকালে মর্মান্তিক মুহূর্ত ধরা পড়ে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়। মৃতের আত্মীয়রা ঘটনাস্থলেই শুয়ে পড়েছেন। তাঁদের আর্তনাদে এলাকায় ক্ষোভের আগুন আরও ছড়িয়েছে। বিলোনিয়ার বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে অবরোধ।

ত্রিপুরায় সন্ত্রাসের রাজত্ব চলছে এমনই অভিযোগ বিরোধী দল সিপিআইএমে। তাদের সুরে সুর মিলিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেস। সদ্য বিজেপি ও বিধায়ক পদ ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া রাজ্যের হেভিওয়েট নেতা সুদীপ রায়বর্মণের অভিযোগ, রাজ্যে প্রশাসন ব্যবস্থা আগেই ভেঙেছিল। গণতন্ত্র নেই। একদলীয় শাসন চলছে। সরকারের পতন নিশ্চিত।

দলীয় সমর্থক খুনের প্রতিবাদে সিপিআইএম ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধুরী পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করেছেন। বামেদের অভিযোগ, রাজ্যে বিজেপি জোট সরকার তৈরির পর গত ৪৭ মাসে ২৪ জন সমর্থক খুন হয়েছেন।