Babri Masjid Demolition: সাম্প্রদায়িক হামলায় জড়িত ধৃতের পাশে বিজেপি, চক্রান্তের অভিযোগ

১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরে দাঙ্গার অভিযোগে জড়িত একজনকে সোমবার গ্রেফতার করে পুলিশ। এই গ্রেফতারির জন্য কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন কর্ণাটক সরকারের কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছে…

১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরে দাঙ্গার অভিযোগে জড়িত একজনকে সোমবার গ্রেফতার করে পুলিশ। এই গ্রেফতারির জন্য কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন কর্ণাটক সরকারের কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছে বিজেপি। ‘হিন্দু কর্মীদের টার্গেট’ করা হচ্ছে বলে কর্ণাটক সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে গেরুয়া শিবির। এছাড়াও এই গ্রেফতারিটাকে ‘হিন্দুদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত” (witchhunt against Hindus) বলেও কটাক্ষ করেছে বিজেপি।

বিজেপি তার X হ্যান্ডেলে লিখেছে, “কর্ণাটকে কংগ্রেস লজ্জাজনকভাবে হিন্দু কর্মীদের টার্গেট করেছে, ৩১ বছর পুরনো একটি জাল মামলায় বয়স্ক কারসেবক শ্রী শ্রীকান্ত পূজারিকে গ্রেফতার করেছে৷ হিন্দুরা রাম মন্দির উদযাপন করার সময়, কংগ্রেসের কাপুরুষোচিত পদক্ষেপ তাদের রামমন্দিরের বাস্তবতাকে মেনে নিতে অস্বীকার করে৷ হিন্দুদের বিরুদ্ধে এই চক্রান্ত অত্যন্ত নিন্দনীয়।”

১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের (Babri Masjid demolition) পরে ‘সংঘটিত দাঙ্গা’য় জড়িত থাকার অভিযোগে ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে কর্ণাটক পুলিশ। উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের জেরে দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ ছড়ানো হয়েছিল। অভিযোগ, কর্নাটকের হুব্বলিতে (Hubballi) যখন সংঘর্ষ হয় তখন তাতে জড়িত ছিল অভিযুক্ত পূজারি। তখন বয়স ছিল ২০ বছর।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এতদিন পুজারিকে গ্রেফতার করা হয়নি কারণ তার মামলাটিকে “দীর্ঘকালের বিচারাধীন” হিসাবে অভিহিত করা হয়েছিল। হুবলি-ধারওয়াড়ের পুলিশ কমিশনার রেনুকা সুকুমারের মতে, এটি পুলিশের একটি নিয়মিত অভিযান। রেণুকা সুকুমার বলেন, ” আমরা দীর্ঘ মুলতুবি মামলাগুলি ক্র্যাক করার চেষ্টা করি। ২০০৬ সালে, এই মামলাটিকে দীর্ঘ বিচারাধীন হিসাবে অভিহিত করা হয়েছিল। গত তিন মাসে, আমরা এই ধরনের ৩৭ টি মামলা ক্র্যাক করেছি এবং এটি তার মধ্যে একটি। অভিযুক্তকে এখন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। অযোধ্যায় বাবরি ধ্বংসের পর হুব্বালিতে দাঙ্গায় তিনি জড়িত ছিলেন।”

উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় ১৬ শতকের একটি মসজিদ – বাবরি মসজিদ ছিল। ১৯৯২ সালের ৬ ই ডিসেম্বর ধর্মীয় উন্মাদনায় কর সেবার নামে হিন্দুত্ববাদীদের হামলায় এই মসজিদ ভেঙে ফেলে। বিতর্কিত এই ধর্মীয় স্থানে রাম জন্মভূমি ও বাবরি মসজিদ একই সাথে ছিল।

বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর বিতর্কিত জায়গার মালিকানা নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াই দেখা যায়। শেষ পর্যন্ত নভেম্বর ২০১৯-এ সুপ্রিম কোর্টের রায়ে পরিণত হয়। দেশের শীর্ষ আদালত রায়ে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য জমি বরাদ্দ করে। এর পাশাপাশি একটি মসজিদের নির্মাণের জন্য একটি বিকল্প প্লটও প্রদান করে। এবছর উদ্বোধন হবে রাম মন্দির।