৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন (Delhi Vidhan Sabha Election) । খাতা কার খুলবে? চতুর্থবারের জন্য আপের (AAP) নাকি দিল্লিতে ছুটবে বিজেপির (BJP) ডবল ইঞ্জিন। আপ-বিজেপিকে টক্কর দিয়ে কি বাজিমাত করবে রাহুলের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস? এই মুহূর্তে দিল্লির রাজনীতি নিয়ে কাটাছেঁড়া করতে ব্যস্ত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এই নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে আপ-কংগ্রেসের জোটকে (AAP-Congress Alliance) পিছনে ফেলে চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে (Chandigarh Mayor Election) জয় জয়কার গেরুয়া শিবিরের (BJP)। সেখানে বিজেপি প্রার্থী হরপ্রীত কর বাবলা মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন ১৯ ভোট পেয়ে। অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী আপ-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী প্রেম লতা পেয়েছেন ১৭ ভোট। কিন্তু দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে তারা বিরোধী, তবে চণ্ডীগড়ে হাতে-হাত মিলিয়ে লড়েছিল আপ-কংগ্রেস।
দেশের রাজধানী লাগোয়া চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচন ছিল এই বছরের এক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ইভেন্ট। বিশেষ করে বিগত বছরগুলোর নির্বাচন এবং তার পরবর্তী ঘটনাবলির প্রেক্ষিতে। পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের রায়ের পর নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তিত হয়েছিল, আর সেদিক থেকে ৩০ জানুয়ারি ছিল এক নতুন সূচনা। এবারের নির্বাচনে বিজেপি তাদের এক বছর আগের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারের লক্ষ্য নিয়ে অংশগ্রহণ করেছিল।
এই নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হরপ্রীত কর বাবলা মহিলা প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে বিজেপির প্রার্থীতার জন্য বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছিলেন। বিজেপি গত বছর যে নির্বাচনে বিতর্কিত অবস্থায় পড়েছিল। সেখানে এই বছর তারা বিশেষভাবে মহিলা প্রার্থীকে সামনে এনে রাজনৈতিক মাঠে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরতে চেয়েছিল। অপরদিকে, আপ-কংগ্রেস জোটও তাদের প্রার্থী প্রেম লতাকে মহিলা হিসেবে নির্বাচন করে সমতার প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
এবছরের নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত করা এবং ভোটে কারচুপির অভিযোগ যেন এড়ানো যায়, সেই লক্ষ্যে শীর্ষ আদালত একজন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছিল। গত বছর, বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল। তখন আদালত বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছায় এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া অবৈধ ঘোষণা করে আপ-কংগ্রেস প্রার্থী কুলদীপ সিংকে জয়ী ঘোষণা করেছিল। এর ফলে গত বছরের নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল, যা এবার নতুন করে নজরদারি ব্যবস্থার মাধ্যমে এড়ানো হয়।
চণ্ডীগড় পুরনিগমের ৩৫ সদস্যের এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দলের মধ্যে এক তীব্র লড়াই ছিল, যেখানে বিজেপি ১৯টি আসনে জয়লাভ করেছে। এই নির্বাচনে বিরোধী জোটের বিরুদ্ধে জয়লাভের মাধ্যমে বিজেপি তাদের শক্তি আরও সুসংহত করেছে। বিজেপির জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, তারা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে নিজেদের নতুন চিত্র তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে।
চণ্ডীগড়ে নির্বাচনের পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং মেয়র নির্বাচনের পরবর্তী প্রভাব কী হবে, তা সময়ই বলবে। তবে, বিজেপির জন্য এই জয় এক বড় ধরনের সাফল্য, যা তাদের সামনের রাজনৈতিক পথে আরও শক্তি যোগাবে। বিশেষত, দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে বিজেপি এই নির্বাচনে জয় পাওয়ায়।