কেন্দ্রীয় সরকার যখন তার ‘এক দেশ এক নির্বাচন’(One nation one vote) বিল উত্থাপন করছিল, তখন লোকসভায় উপস্থিত না থাকা বিজেপি (BJP) সাংসদদের বিরুদ্ধে নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সংসদের ডিভিশন ভোটের সময় ২০ জনের বেশি বিজেপি (BJP) সাংসদ অনুপস্থিত ছিলেন। এর আগে, দল তাদের সাংসদদের একটি ত্রৈলিপি বার্তা পাঠিয়েছিল, যাতে বলা হয়েছিল যে, লোকসভায় এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে তাদের উপস্থিত থাকা আবশ্যক।
চিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা সিরিয়ার বিদ্রোহীদের, স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবি তুর্কিদের
তবে, সাংসদদের অনুপস্থিতি বিল দুটি পাস হওয়ার পথে কোনো বাধা সৃষ্টি করেনি। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিল দুটি সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে পেশ করা হয়েছে, এবং এই বিলগুলো সংবিধান সংশোধন করে সংসদ এবং রাজ্যসভা নির্বাচন একযোগে আয়োজনের পথ প্রশস্ত করবে। তবে, বিরোধী দল কংগ্রেস এই অনুপস্থিতির বিষয়টিকে একটি রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে এবং দাবি করেছে যে, এটি প্রমাণ করে যে, সরকার এই গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবে যথেষ্ট সমর্থন পায়নি।
কংগ্রেস নেতারা অভিযোগ করেছেন যে, যদি সরকারের কাছে পর্যাপ্ত সমর্থন থাকত, তাহলে এরকম বিশাল সংখ্যক সাংসদ কেন অনুপস্থিত থাকবেন? তাদের মতে, এটা সরকারের উপর এক ধরনের আস্থাহীনতা বা তার সমর্থনে ঘাটতি হওয়ার প্রমাণ। কংগ্রেস সাংসদদের বক্তব্য, বিজেপি সরকার তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সাংসদদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পারেনি, যা তাদের রাজনৈতিক দুর্বলতার প্রকাশ।
এদিকে, বিজেপি পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যদিও কিছু সাংসদ উপস্থিত থাকতে পারেননি, তবে সরকারের পক্ষে যথেষ্ট সংখ্যক সাংসদ ভোট দিয়েছে এবং এই বিলগুলি পেশ করতে কোনো সমস্যা হয়নি। দলটি মনে করছে, ২৬৯ ভোটের সমর্থন মোট ৪৬১টি ভোটের মধ্যে একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ, যা সরকারকে রাজনৈতিকভাবে সফলতার দিকে নিয়ে যাবে।
পাশ হল না ‘এক দেশ এক ভোট বিল’, ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারল না কেন্দ্র
বিরোধীদের দাবি, সরকারের এই বিলের পক্ষে সমর্থন অর্জন করা সহজ হবে না। বিশেষত, রাজ্যসভায় এই বিলটি পেশ হলে, সেখানে সরকারকে বিরোধী দলের শক্ত প্রতিরোধের মুখোমুখি হতে হতে পারে। বিরোধীরা মনে করছেন, এক দেশ এক নির্বাচন ব্যবস্থা সংবিধানের মূল কাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং রাজ্যগুলোর স্বায়ত্তশাসনের অধিকার সংকুচিত করতে পারে। এদিকে, সরকারের দাবি, এক দেশ এক নির্বাচন ব্যবস্থা নির্বাচন প্রক্রিয়া আরও সুশৃঙ্খল এবং দক্ষ করে তুলবে, যা দেশকে একসঙ্গে পরিচালনা করতে সহায়ক হবে।
শীতকালীন ভ্রমণের বিশেষ ট্রেন রেলের, দক্ষিণ ভারত ঘুরতে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ
এখন, বিজেপি সাংসদদের অনুপস্থিতির ঘটনাটি রাজনৈতিকভাবে আরো তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে, বিরোধী দলগুলি একে সরকারের ক্ষমতার উপর প্রশ্ন তোলার সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করছে। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে এই বিলটি রাজ্যসভায় পেশ করা হবে, যেখানে সরকারকে আরও বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।