বিহার, ২২ অক্টোবর: জনসুরাজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) দাবি করেছেন, বিহার নির্বাচনে বিজেপি “মাসল পাওয়ার”, মানে বলপ্রয়োগ ও ভয়ভীতি চালিয়ে তার দলীয় কিছু প্রার্থীদের প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছে।কিশোর জানান যে, তাঁর দলীয় তিনজন প্রার্থী—যাঁরা দানাপুর, ব্রহ্মপুর ও গোপালগঞ্জ আসনে লড়াইয়ে নেমেছিলেন—তাঁদের প্রতি বিজেপি ভয়ভীতি দেখিয়ে চাপের মুখে ফেলে দিয়েছেন। তিনি বিশেষভাবে দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে নামিয়ে আনেন — অমিত শাহ ও ধর্মেন্দ্র প্রধানকে—দায়ী করে বলেছেন, তারা ওই প্রার্থীদের ওপর প্রভাব প্রয়োগ করেছেন যাতে তারা প্রকাশ্যে যেন মুখ না খোলেন।
কিশোর এক প্রেস কনফারেন্সে বলেন, “যদি হোম মন্ত্রীর নেতৃত্বে এমন ঘটছে, তাহলে সাধারণ প্রার্থী কী করতে পারে?” তিনি আরও বলেন, এটি শুধু এক–দুই জনের ঘটনা নয় — এটি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। বিজেপির পক্ষ থেকে পাল্টা দাবি এসেছে — বিজেপি তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করেছে: প্রার্থী হোন, ভোটে লড়ুন, বাস্তব নিরীক্ষা পাবেন। পাশাপাশি বিজেপি নেতারা বলছেন, এ ধরনের অভিযোগ রাজনৈতিক কৌশল হতে পারে।
এদিকে রিপোর্ট বলছে, অমিত শাহ বিহারে গিয়ে পার্টি নেতা দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করছেন, অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ নিয়ন্ত্রণ ও দলীয় প্রচার মজবুত করার লক্ষ্যে। এই প্রেক্ষাপটে, বিহার রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন এগিয়ে আসছে, যার ফল আগামীতে জাতীয় রাজনীতিতেও বড় ইঙ্গিত দিতে পারে। কিশোরের অভিযোগ যদি সত্য হয় — তাতে নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার অখণ্ডতা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠছে।
যদিও অভিযোগ থাকা মানেই অপরাধ প্রমাণ হয় না — আদালত, নির্বাচনি কমিশন বা গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তের প্রয়োজন।এই ধরণের কারণে সাধারণ ভোটারদের ও প্রার্থীদের মধ্য ভয়প্রবণতা বা নিষ্পত্তিহীনতা পুষে উঠতে পারে — যা ব্রতিহীন গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর।
অন্য দিকে, বিজেপির পক্ষ থেকে যদি এটি কৌশলগত বা রাজনৈতিক “অ্যালিজাবল” বলে দাবি হয় — তবে বিষয়টি আরও জটিল হয়ে ওঠে, কারণ সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক সংস্কৃতি, দলীয় প্রতিযোগিতা ও নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।