সোমবার থেকে কর্ণাটক রাজ্যে সামাজিক ও শিক্ষাগত জরিপ, যা জনসাধারণের মধ্যে পরিচিত জাতি গণনা নামে, শুরু হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সরকারি স্কুল শিক্ষকসহ ১.৭৫ লাখ এনুমারেটর ঘর-ঘর গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছেন। এই জরিপে প্রায় দুই কোটি বাড়ি এবং সাত কোটি মানুষের তথ্য সংগ্রহ করার লক্ষ্য রয়েছে।
জরিপের প্রথম দিনেই প্রযুক্তিগত ত্রুটি এবং এনুমারেটরদের সরঞ্জাম বিতরণে বিলম্ব দেখা গিয়েছে। অনেকেই কাজ শুরু করতে পারেননি। যারা কাজ শুরু করতে পেরেছেন, তারা শুধুমাত্র কয়েকটি পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছেন। প্রথম দিনে মোট ২,৭৬৫টি পরিবার এবং ১০,৬৪২ জনের জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। বিজেপির (BJP) দাবি, এই ধরনের পরিস্থিতি সংঘাত ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। তারা অভিযোগ করেছে, কংগ্রেস সরকার হিন্দু সম্প্রদায়কে বিভাজিত করার চেষ্টা করছে।বিজেপির দাবি, এই ধরনের পরিস্থিতি সংঘাত ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। তারা অভিযোগ করেছে, কংগ্রেস সরকার হিন্দু সম্প্রদায়কে বিভাজিত করার চেষ্টা করছে।
রাজ্যের অধিকাংশ এলাকায় জরিপ চালু থাকলেও, গ্রেটার বেঙ্গালুরুতে একটি বা দুই দিনের বিলম্বের সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, নতুনভাবে গঠিত পাঁচটি কর্পোরেশনকে এনুমারেটর প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতির জন্য কিছু সময় নেওয়া দরকার।
শিবমোগা, হাভেরি, বালারি, চিত্রদুর্গা এবং কোডাগু জেলা সহ অন্যান্য জেলায় প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে জরিপ কিছু সময় স্থগিত হয়। তবে সমস্যার সমাধানের পর পুনরায় জরিপ শুরু হয়েছে। কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই জাতি জরিপের রিপোর্ট ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়া হবে। রাজ্যের সরকারি ও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলো এই তথ্যের ভিত্তিতে নীতি প্রণয়ন ও সম্প্রদায়-ভিত্তিক উদ্যোগ নিতে পারবে।
জাতি জরিপ সামাজিক, শিক্ষাগত এবং রাজনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। নাগরিকরা আশা করছেন, এই তথ্য নিরপেক্ষভাবে ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সংগৃহীত হবে। অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলোও জাতি ভিত্তিক সমীকরণে নজর রাখছেন। এতে আগামী নির্বাচন ও সামাজিক নীতি প্রণয়নে প্রভাব পড়তে পারে।

আমাদের Google News এ ফলো করুন
২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।
