হিন্দুদের জন্মহার কমছে! প্রত্যেক ভারতীয়ের ৩ টি সন্তান নেওয়া উচিৎ: RSS প্রধান

নয়াদিল্লি: ভারতের প্রস্তাবিত জন্মহার যেখানে ২.১, অর্থাৎ ‘হাম দো, হামারে দো’, সেখানে “প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকের ৩ টি করে সন্তান নেওয়া উচিৎ”, বলে মন্তব্য করলেন সংঘ…

হিন্দুদের জন্মহার কমছে! প্রত্যেক ভারতীয়ের ৩ টি সন্তান নেওয়া উচিৎ: RSS প্রধান

নয়াদিল্লি: ভারতের প্রস্তাবিত জন্মহার যেখানে ২.১, অর্থাৎ ‘হাম দো, হামারে দো’, সেখানে “প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকের ৩ টি করে সন্তান নেওয়া উচিৎ”, বলে মন্তব্য করলেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে জনবিন্যাস পরিবর্তন এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে আরএসএস (RSS) প্রধান বলেন, বিশেষজ্ঞরা বলছে, কোনও জাতিতে জন্মহার (Birth Rate) ৩-এর কম হলে সেই জাতি ধীরে ধীরে অবলুপ্তির পথে হাঁটে। এটি সব দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। দেশের স্বার্থে তাই প্রত্যেক ভারতীয় যুগলের কমপক্ষে ৩ টি সন্তান নেওয়া উচিৎ।

প্রস্তাবিত জন্মহার ২.১ বিষয়ে সংঘ প্রধানের বক্তব্য, “গড়ে ২.১ জন্মহার ঠিক আছে। কিন্তু ০.১ সন্তান তো হয় না! অঙ্কে ২.১ মানে ২ হয়। কিন্তু জন্মের ক্ষেত্রে তা হবে ৩।” সেইসঙ্গে তিনি বলেন, “অনুপ্রবেশকারী ঠেকাতে সরকার নিরন্তর চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে সমাজেরও এই প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণ করা উচিৎ”। “ডাক্তাররা আমাকে বলেছেন, সঠিক বয়সে বিবাহ এবং তিনটি সন্তান নিলে বাবা-মা এবং সন্তান উভয়েরই স্বাস্থ্য ভালো থাকে। পরিবারে তিনজন ভাইবোন থাকলে তাদের মধ্যে অহংবোধ কাজ করে না এবং পরবর্তীকালে তাদের মধ্যে কোনও বিবাদও হয় না।”

   

ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, সব সম্প্রদায়ের মধ্যেই জন্মহার কমছে। তবে হিন্দুদের ক্ষেত্রে তা নজরে পড়ার মত। কেননা, সবসময়ই হিন্দুদের জন্মহার কম ছিল। অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যে আগে জন্মহার বেশি ছিল। কিন্তু বর্তমানে সেটিও কমছে। সম্পদের ঘাটতি হলে জনসংখ্যা কমবেই, এটাই স্বাভাবিক। তাই নতুন প্রজন্মের কমপক্ষে তিনটি সন্তান নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকা উচিৎ।”

Advertisements

বলা বাহুল্য, গত বছর জনসংখ্যার নিরিখে চিনকেও পেছনে ফী দিয়েছিল ভারত। তবে জুন মাসে প্রকাশিত ইউএন (UN)-এর জনবিন্যাস সংক্রান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের মহিলা প্রতি জন্মহার ১.৯ এ নেমে গিয়েছে। অর্থাৎ, জনসংখ্যা ঠিক রাখতে গড়ে প্রতি মহিলার যতগুলি সন্তান থাকা উচিৎ, সেই হার কমে গিয়েছে। তবে ভারতের যুব সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা তাৎপর্যপূর্ণ। ০ থেকে ১৪ বছর বয়সীরা ২৪, ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সীরা ১৭ এবং ১০-২৪ বছর বয়সীদের অনুপাত ২৪ শতাংশ বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে।