নিয়োগ দুর্নীতিতে তোলপাড় বাংলা। ঝাড়খণ্ডে সরকার ফেলতে চলছে গোপন আঁতাত। এরই মধ্যে বিহার (Bihar) নিয়ে মহা বিপদে বিজেপি। মঙ্গসবার জেডিইউ দলের বৈঠকে বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন নীতীশ কুমার৷ সম্ভবত বিচ্ছেদের পথে চলতে চান তিনি। তাই বিহারে জোট সরকার বাঁচাতে নীতীশকে ফোন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ সূত্রের খবর, দুজনের দীর্ঘ সময় ধরে কথা হয়েছে।
নীতীশ কুমারের দিকে তাকিয়ে ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচে রেখেছে বিজেপি৷ তবে তোরডজোর শুরু করেছে বিরোধী শিবির। দলীয় বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন বিরোধী জোট আরজেডি এবং কংগ্রেস ও সিপিআই(এমএল) সিপিআইএম ও সিপিআই। ইতিমধ্যে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে নীতীশ কুমারে।
শুধুমাত্র অমিত শাহ নয়৷ নীতীশ কুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন উপমুখ্যমন্ত্রী। যদিও দলীয় বৈঠককে রুটিনমাফিক বৈঠক বলছে জেডিইউ৷ তবে এখনই নীতীশ কুমার সম্পর্কে মুখ খুলতে বারণ করেছে শীর্ষ নেতারা৷ যদিও এই বিচ্ছেদ ঘটনার জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেছে জেডিইউ। তবে বৈঠকের পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নীতীশ ঘনিষ্ঠ বিজয় চৌধুরী৷
গত বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই জেডিইউকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পণা ছিল বিজেপির৷ আসন সংখ্যা কম হওয়ার কারণে বারবার নীতীশ কুমারের দলকে কটাক্ষ করে একাধিক মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতারা৷ এর জেরে বিজেপির সঙ্গেও দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেছে নীতীশ কুমার৷
গত কয়েক মাস ধরে প্রধানমন্ত্রীর একাধিক বৈঠকে দেখা যায়নি নীতীশকে৷ এমনকি রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় অনুপস্থিত ছিলেন নীতীশ৷ সম্প্রতি নীতি আয়োগের বৈঠকে বিরোধী দলগুলির মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত থাকলেও যাননি নীতীশ কুমার৷ সরকার পতনের জল্পনায় ঘৃতাহুতি দিয়েছে এই ঘটনা।