বিহার বিধানসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে। ভোটগণনার প্রাথমিক ফলাফলের দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে, প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) ‘জন সুরাজ পার্টি’ (জেএসপি) তার নিজস্ব দাবির বিপরীতভাবে খুব সীমিত সাফল্য পেয়েছে। ২৩৪টি আসনের মধ্যে শুধুমাত্র একটি আসনে এগিয়ে আছে জেএসপি, যা এই দলকে নির্বাচনী পরিসরে এখনও অল্পমাত্র প্রভাবশালী করে তুলেছে।
প্রশান্ত কিশোর, যিনি বিগত কয়েক বছরে রাজনৈতিক কৌশল ও নির্বাচনী পরামর্শদাতার পরিচয় পেয়েছেন, এই নির্বাচনে নিজের পার্টিকে সম্ভাব্য ‘ডার্ক হর্স’ হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন। জেএসপি দাবি করেছিল যে তারা বিহারের রাজনৈতিক মঞ্চে বড় পরিবর্তন আনতে সক্ষম, বিশেষ করে যুব সমাজ ও নতুন ভোটারদের মধ্যে শক্তিশালী সমর্থন পেয়েছে। তবে গণনার প্রাথমিক ফলাফলের পর দেখা যাচ্ছে যে এই দাবি বাস্তবে রূপ পায়নি।
বহু বিশ্লেষক এবং গণমাধ্যমের মতে, জন সুরাজ পার্টির পারফরম্যান্স মূলত পূর্বাভাসকৃত ফলাফলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বেশিরভাগ এক্সিট পোল পূর্বেই ইঙ্গিত দিয়েছিল যে জেএসপি নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখতে পারবে না। এই ভবিষ্যদ্বাণীই প্রাথমিক ফলাফলে প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রশান্ত কিশোরের দল প্রধানত যুব ও নগর ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছিল। তাদের নির্বাচনী প্রচারণা মূলত দুর্নীতি, উন্নয়ন এবং স্বচ্ছ প্রশাসনের প্রতিশ্রুতির উপর কেন্দ্রীভূত ছিল। তবে এই প্রচেষ্টা বড় ধাক্কা খেয়েছে, কারণ পুরনো রাজনৈতিক শক্তিগুলো এখনও ভোটারদের কাছে অধিক পরিচিত এবং বিশ্বাসযোগ্য। বিশেষত গ্রামীণ অঞ্চলে প্রভাব তৈরি করতে জেএসপি কঠিন সময়ের মুখোমুখি হয়েছে।
