চলতি বছরে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election) হতে পারে। অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। বিজেপি এখন সেই নির্বাচনকে লক্ষ্য করে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। দিল্লি নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর, বিজেপি এখন বিহারের দিকে নজর দিয়েছে। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ ২৪৩টি আসনের মধ্যে ২২৫টি জয়লাভের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে।
বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেপির বর্ষীয়ান বিধায়ক তারকিশোর প্রসাদ জানিয়েছেন, বিহারে এনডিএ ক্ষমতায় আসবে। তার দাবি, ২০০৫ সাল থেকে বিহারের উন্নয়নের জন্য এনডিএ সরকার কাজ করে আসছে, এবং ২০২৫ সালে এই ধারা অব্যাহত রাখতে এনডিএ পুনরায় ক্ষমতায় আসবে। তার বক্তব্য সরাসরি আরজেডি-কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
এনডিএ-র আরেক শরিক দল হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা-র নেতা জিতেন রাম মাঝি এক পোস্ট শেয়ার করে বলেছেন, “দিল্লি যার, বিহারও তার।” এর মাধ্যমে তিনি দিল্লির নির্বাচনে বিজেপির জয়কে বিহারের ভবিষ্যতের জন্য শক্তি হিসেবে দেখছেন।
তবে আরজেডি বিজেপির এই হুঙ্কার উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের দাবি, দিল্লি নির্বাচনের ফল বিহারের নির্বাচনে কোনও প্রভাব ফেলবে না। আরজেডি মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় তিওয়ারি জানিয়েছেন, বিহার জনগণ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দেবে। বিহারের জনতা বিজেপির প্রচারকে গুরুত্ব দেয় না।
বিহারে এনডিএ-র শক্তি আরও বাড়াতে নীতিশ কুমারের এনডিএ-তে যোগদানকেও একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিজেপি মনে করছে, দিল্লির নির্বাচনের পর এনডিএ তাদের প্রচারে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
এখন প্রশ্ন, দিল্লির পর বিহারে এনডিএ তার লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে? নাকি সেখানে পরিবর্তনের হাওয়া বইবে? ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ইতিমধ্যে এই প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন।