লালু-প্রসাদকে “ধৃতরাষ্ট্র” বলে কটাক্ষ উপ-মুখ্যমন্ত্রীর

পাটনা: ভোটের আগে বিহারে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে বলে রাষ্ট্রীয় জনতা দল-সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদবদের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী বিজয় কুমার সিনহা। শনিবার…

লালু-প্রসাদকে "ধৃতরাষ্ট্র" বলে কটাক্ষ উপ-মুখ্যমন্ত্রীর

পাটনা: ভোটের আগে বিহারে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে বলে রাষ্ট্রীয় জনতা দল-সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদবদের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী বিজয় কুমার সিনহা। শনিবার বিজয় কুমার সিনহা বলেন, “যারা বিহারের মানুষকে পরিযায়ী শ্রমিকে পরিণত হতে বাধ্য করেছে, বর্তমানে তাঁদের অন্তিম সময় এসে গিয়েছে।” এরপরেই লালু প্রসাদ যাদবকে ধৃতরাষ্ট্রের সঙ্গে তুলনা করে উপ-মুখ্যমন্ত্রী কটাক্ষ, “ধৃতরাষ্ট্রের মত পুত্রস্নেহে অন্ধ হয়ে বিহারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইছেন। বিহারীরা এসব মেনে নেবে না”।

বস্তুত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিহার থেকে পরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে গিয়ে গুজরাটে কারখানা বানাবেন বলে কটাক্ষ করেছিলেন লালু প্রসাদ যাদব। সম্প্রতি তেজস্বীও বলেছিলেন, “বিহারের মানুষ কেবলমাত্র শ্রমিকের কাজ করার জন্য জন্মায়নি”। আরজেডির এই বয়ানের বিরুদ্ধেই এদিন সুর চড়িয়েছেন বিজয় কুমার সিনহা। তাঁর দাবি, লালু প্রসাদের জমানাতেই বিহারীদের কাজের আশায় ভিনরাজ্যে যেতে হয়েছে। তাঁদের পরিযায়ী শ্রমিকে পরিণত হওয়ার জন্য লালু প্রসাদের সরকারই দায়ী ছিল বলে দাবি করেন সিনহা।

   

সেইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, আরজেডির অন্তিম সময় এসে গিয়েছে। উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং নীতিশ কুমারের দেখা স্বপ্ন এবার বাস্তবায়িত হবে”। শুক্রবার লালু আরজেডি সুপ্রিমো এক্স-এ লেখেন, “মোদীজি, আপনি কি ভেবেছেন, বিহার থেকে জিতে গুজরাটে গিয়ে কারখানা বানাবেন? এইসব গুজরাটি ফর্মুলা বিহারে খাটবে না”। 

লালু-পুত্র তেজস্বীও নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে একই তোপ দেগেছেন। এর আগে তেজস্বী বলেছিলেন, “বর্তমানে বিহার দারিদ্র, বেকারত্ব, অপরাধ, পরিযায়ী, সহ শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য-ক্ষেত্রের সময়া নিয়ে জর্জরিত। এইসব সমস্যাগুলোর সমাধান করা প্রয়োজন”। বিহারের মানুষ মোদীজির “স্ট্র্যাটেজি”র ফাঁদে পা দেবেন না বলে তোপ দাগেন তেজস্বী।

Advertisements

বলা বাহুল্য, বৃহস্পতিবার কেরল-কংগ্রেসের বিহার-বিড়ি পোস্টের পরেই ভোটমুখী বিহারে শাসক-বিরোধী তর্জা নয়া মোড় নিয়েছে। বিহারের বিজেপির রাজ্য সভাপতি দীলিপ জয়সওয়াল কংগ্রেসের পরে ডিলিট করে দেওয়া পোস্টটিকে “বিহারীদের অপমান” বলে উল্লেখ করেন। অন্যদিকে, সুর চড়ান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। তিনি বলেন, “বিহারের মানুষ তাঁদের অপমানের প্রতিবাদে উচিৎ শিক্ষা দেবে”।

গতকাল দিনভর কেরল কংগ্রেসের পোস্টকে কেন্দ্র করে বিজেপির আস্ফালনের পর সন্ধ্যেবেলায় “সমর্থন করি না” বলে সাফ জানিয়ে দেন বিহারের আসন্ন নির্বাচনে ইন্ডি জোটের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ তেজস্বী। আরজেডি নেতা বলেন, “আমি এবং আমার দল এই ঘটনাকে সমর্থন করি না”।