সর্বশেষ বিহার (Bihar) বিধানসভা ভোটে বিহার থেকে বিজেপির জয়ের খবরের মাঝে সাড়া ফেলে দেওয়া সংবাদটি ছিল একের পর এক বাম বিধায়কদের জয়ের খবর। মহাজোটের সিপিআইএমএল (লিবারেশন), সিপিআইএম ও সিপিআই মিলে ১৬ জন বিধায়ক নির্বাচিত হন। আরও বেশকিছু আসনে বামপন্থীরা ছিলেন দ্বিতীয়। মহাজোট হয় মূল বিরোধী। এবার নীতীশ কুমার ফের জোট বদলে তাঁর সুনাম অক্ষুন্ন রা়খলেন। তিনি ফের এনডিএ ছেড়েছেন। সূত্রের খবর নীতীশের দল আরজেডি, কংগ্রেস, বামপন্থীদের জোটে গিয়ে নতুন সরকার গড়ছে। এই সরকারের মন্ত্রিসভায় জ্বলবে লাল তারা।
পশ্চিমবঙ্গে কোনওদিনই কল্কে না পেলেও প্রতিবেশি বিহারে বরাবর শক্তিশালী সিপিআই(এমএল) লিবারেশন। দলটির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বাংলার কৃতী ছাত্র ছিলেন। তিনি বিহার থেকে লিবারেশনের নেতৃত্ব দেন। বস্তুতপক্ষে বিহারের মাটিতে বারবার সামন্তবাদ বিরোধী ভূমিকায় সত্তর দশকের পর থেকে লিবারেশন শক্তিশালী। বারবার কিছু বিধায়ক বিহার বিধানসভায় পাঠালেও গত ভোটে মহাজোটের অংশীদার হিসেবে নজরকাড়া স্ট্রাইকিং রেট নিয়ে ১৬টি আসনে জয়ী হয় লিবারেশন।
এবার সিপিআইএমএলের তরফে মন্ত্রীত্ব দাবি করা হবে। পাটনায় সংগঠনটির নেতৃত্ব তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছেন। মহাজোটের বৈঠকে সব ঠিক হবে বলেই জানানো হয়েছে।
মহাজোটের তরফে উপমুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন আরজেডি নেতা তথা লালুপ্রসাদ পুত্র তেজস্বী যাদব। এর আগেও আরজেডি-জেডিইউ জোটে তিনি উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। সেবার নীতীশ কুমার জোট ভেঙে এনডিএ জোটে সামিল হন। এবার ফের তিনি এনডিএ ত্যাগ করেছেন। নীতীশকেই মুখ্যমন্ত্রী রাখা হচ্ছে। এমনই খবর আসছে মহাজোটের তরফে।
অভিভক্ত বিহার বিধানসভায় প্রথম বাম বিধায়ক ছিলেন এ কে রায় (অরুন কুমার রায়)। তিনি সিপিআইএম থেকে বারবার নির্বাচিত হন। পরে ধানবাদ থেকে টানা সাংসদ নির্বাচিত হতেন। এছাড়াও সিপিআই থেকে বিধায়করা ভোটে জিতেছেন বারবার। নিরসা, বেগুসরাই সহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্র বামপন্থীদের ঘাঁটি। ইউপিএ সরকারের কৃষিমন্ত্রী ছিলেন বিহারের সিপিআই সাংসদ চতুরানন মিশ্র। তবে সর্বাধিক বাম বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন গত বিধানসভা ভোটে। বড় সফলতা পেয়েছে লিবারেশন।