ভিন রাজ্যে বাঙালিদের নিগ্রহের ঘটনা সাম্প্রতিক কালে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে সকলের ই (Tamil Nadu)। শুধু তাই নয় বাঙালি নিগ্রহ নিয়ে বঙ্গে রীতিমত রাজনৈতিক দলগুলি নেমে পড়েছে নিজেদের রাজনৈতিক মঞ্চ তৈরী করতে। কিন্তু সাধারণ মানুষের জীবন কিংবা বলা ভালো বাংলার বাইরে বাঙালিদের জীবন তা কিন্তু এখনো অনিয়শ্চয়তায়।
মৃতদেহ ও ঠিক এমন ই এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে তামিলনাড়ুতে। শুধু মাত্র বাঙালি বলে তামিলনাড়ুর শ্মশানে দাহ হলনা মৃতদেহ। সেই দেহ পাঠাতে হল পশ্চিমবঙ্গে। মৃত ব্যাক্তি নীলমনি ঘোষ একজন পরিযায়ী শ্রমিক। তার পত্রিক বাড়ি বসিরহাটের টাকিতে। তামিলনাড়ুর কুমারা পার্লালামে একটি কাপড়ের ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতেন নীলমনি। কাজ করতে করতে হঠাৎ ই সিঁড়ি থেকে পা পিছলে পরে গিয়ে মাথায় চোট পান তিনি।
রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও হয়নি শেষ রক্ষা। গত মঙ্গলবার মারা যান তিনি। কিন্তু মৃত্যুর পরেও শান্তি নেই। দেহের সৎকার করার জন্য তামিলনাড়ুর ই এক শ্মশানে নিয়ে গেলে ফিরিয়ে দেওয়া হয় পরিবারকে। পরে তার মৃতদেহ অ্যাম্বুলেন্স এ করে নিয়ে আসা হয় তার বাড়ি টাকিতে। এই ঘটনার প্রতিবেদন সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশ হলে শুরু হয় নিন্দার ঝড়।
সমোলোচকরা বলেন এ কেমন সংস্কৃতি, যে সংস্কৃতিতে মৃত্যুর পরেও মানুষের জাতি ধর্ম নিয়ে ভেদাভেদ করা হয়। সম্প্রতি বাংলায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ভিন রাজ্যে বাংলা এবং বাঙালি নিগ্রহের ঘটনাকে হাতিয়ার করে ভাষা আন্দোলনে নেমেছে। এই ভাষা আন্দোলন নিয়েও বাংলার বুকে শুরু হয়েছে ‘তুতু ম্যায় ম্যায়।’
শাসকেরা আন্দোলন করে বিরোধীরা বিরোধ করে। রাজনৈতিক ফায়দার সাফাই গায়। কিন্তু সাধারণ মানুষের প্রশ্ন এই রাজনীতি পাল্টা রাজনীতির মধ্যে আদতে ভালো আছে কি পরিযায়ী শ্রমিকরা। সম্প্রতি মমতা বন্দোপাধ্যায় পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরে আসার আহহ্বান জানিয়ে শ্রমশ্রী প্রকল্প ঘোষণা করেছেন। যে প্রকল্পে ফিরে এলেই পরিযায়ীরা পাবেন কড়কড়ে ৫০০০ টাকা।
কিন্তু তা দিয়ে কি পেট চলবে ? এবং চললেও তা কতদিন চলবে সেই প্রশ্ন ও করেছেন অনেকে। আবার ভিন রাজ্যে চলছে চরম বৈষম্য এবং অরাজকতা। রাজনীতির ঘেরাটোপে পড়ে দীঘদিন ধরে অসুখী পরিযায়ী শ্রমিকরা আসলে কি পদক্ষেপ নেবেন তা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকে। সমোলোচকরা বলেছেন রাজনীতির খেলা শুধু ক্ষমতা আর গোদির খেলা।
এশিয়া কাপের আগে হটাৎ অসুস্থ তারকা ক্রিকেটার, বাদ পড়লেন দলীপ ট্রফিতে
আদতে এই খেলায় মরে সাধারণ মানুষ। আবার অনেকেই এই ঘটনার নিন্দা করে বলেছেন, সরকার হোক বা বিরোধী পক্ষ ঘটন সত্যতা যাচাই করে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আদতে নীলমনির ঘটনা আবার বঙ্গবাসীর চোখ খুলে দিয়েছে যে বাংলার বাইরে এখনও বাঙালি নিগৃহীতই, এবং তাতে ছাড় পাচ্ছেনা মৃতদেহ ও।