করোনাভীতির (Covid 19) রাজনীতি চলছে বিভিন্ন মহল থেকে এমনই অভিযোগ আসছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রে থাকা মোদী সরকার কাঠগড়ায়। চিকিৎসা পরিকাঠামোর দিকে নজর না দিয়ে সরাসরি সংক্রমণের ভয় ধরানো প্রচার চলছে বলেও অভিযোগ। বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুল্যমূল্য বিচার করে বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনা সংক্রমণের প্রচারমূলক সংবাদ ছড়ানো হচ্ছে। পরিস্থিতি বিচার করে করোনাবিধি জারি করার বদলে চলছে অহেতুক ভয় ছড়ানোর কাজ।
ভারতে লকডাউন দরকার নেই। এমনই জানিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন। এই সংগঠনের তরফে অনিল গোয়েল বলেন, দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ টিকা নিয়েছেন। তাই আমাদের দেশে লকডাউন জারি করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে না। চিনাদের তুলনায় ভারতীয়দের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অনেক বেশি। তবে সাধারণ মানুষদের করোনাবিধি মেনে চলার আবেদন জানিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন।
আইএমএ জানিয়েছে, ভারতে গত ২৪ ঘন্টায় ১৪৫টি নতুন সংক্রমণ খবর পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে চারটি কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিএফ ৭। অক্সিজেন, ওষুধ এবং অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার দিকে জোর দেওয়া দরকার।

বিশ্বে করোনা পরিস্থিতি কী?
বিশ্বজুড়ে করোনার হিসেব রাখা ওয়ার্ল্ডোমিটার জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্তের হার দুটোই কমেছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নতুন করে ১ হাজার ৩৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংক্রমিত হয়েছেন ৪ লাখ ৯২ হাজার ১৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৩১ হাজার ২৭ জন। বিশ্বে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬ কোটি ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯০০ জন। মারা গেছেন ৬৬ লাখ ৮০ হাজার ৫৩৭ জন।
চিন ও আমেরিকা থেকে করোনা ফের ছড়াচ্ছে বলেই জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্খ্য সংস্থা। ২০২০ সাল থেকে ‘শূন্য করোনা নীতি চলছে চিনে। সেই কারণে করোনার কঠোর বিধিনিষেধ চলছিল। সম্প্রতি চিনের বেশ কিছু শহরের বাসিন্দারা ওই নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। চলতি মাসের শুরুর দিকে বেশিরভাগ বিধিনিষেধ শিথিল করা হয় চিনে। তারপর থেকেই দেশটিতে করোনার সংক্রমণ বাড়তে দেখা গেছে।