অগ্নিগর্ভ বরেলি! নামাজের পরেই ঘটল লঙ্কা কান্ড

বরেলি, ২৬ সেপ্টেম্বর: উত্তরপ্রদেশের বরেলি শহরে জুমার নামাজের পর হঠাৎ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে (India Politics)। যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। কোহলানুপুর এলাকায় নামাজ…

India Politics bareli

বরেলি, ২৬ সেপ্টেম্বর: উত্তরপ্রদেশের বরেলি শহরে জুমার নামাজের পর হঠাৎ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে (India Politics)। যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। কোহলানুপুর এলাকায় নামাজ শেষ হওয়ার পর কিছু যুবকদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়, যা শীঘ্রই হইচইয়ে রূপ নেয়। পুলিশের দ্রুত হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও, এ ঘটনা স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

বরেলির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সাংসদ ছত্রপাল সিংহ গাঙ্গোয়ার ঘটনাস্থলে পৌঁছে বলেছেন, “পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা সকলে শান্তি বজায় রাখার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কোনো অস্থিরতা হবে না।” তাঁর এই বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে উঠেছে। ঘটনার বিবরণ জানা গেছে যে, জুমার নামাজে হাজারো মুসলিম সম্প্রদায়ের লোক অংশ নিয়েছিলেন।

   

নামাজ শেষে কোহলানুপুরের একটি মসজিদের কাছে কয়েকজন যুবকের মধ্যে ছোটখাটো তর্ক শুরু হয়, যা ধীরে ধীরে জমায়েতে পরিণত হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, এটি একটি ছোটখাটো বিরোধ থেকে উদ্ভূত হয়েছে, যেখানে দুই গ্রুপের মধ্যে রাস্তা দখল নিয়ে ঝগড়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ এবং এসএফআই (স্পেশাল ফোর্স) ফোর্স পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।

কোনো গুরুতর আঘাত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই, তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এমন ঘটনা শহরের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে বিঘ্নিত করে। বরেলির পুলিশ অধীক্ষক (এসপি) অভিজিৎ সিংহ বলেছেন, “আমরা তদন্ত করছি। এটি সাম্প্রদায়িক নয়, বরং স্থানীয় বিরোধ। প্রয়োজনে এফআইআর করা হবে।”

ছত্রপাল সিংহ, যিনি ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বরেলি থেকে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেছেন, ঘটনার পর সাংবাদিকদের সামনে বলেন, “বরেলি একটি শান্তিপ্রিয় শহর। আমরা সকলে মিলে এমন ঘটনা ঘটতে দেব না। সরকারের নির্দেশনায় পুলিশ সজাগ আছে।” তিনি স্থানীয়দের আহ্বান জানান, “কোনো গুজব ছড়িয়ে উত্তেজনা বাড়াবেন না।

Advertisements

আমরা সবাই ভাই-ভাই।” এই বক্তব্য বিজেপির অন্যান্য নেতাদেরও সমর্থন পেয়েছে। স্থানীয় বিজেপি নেতা রাজেন্দ্র সিংহ বলেছেন, “সাংসদজির নেতৃত্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এটি ছোটখাটো ঘটনা, সাম্প্রদায়িক রং দেওয়া যাবে না।” উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন সরকার সাম্প্রদায়িক ঘটনায় ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করে আসছে।

দীর্ঘ বিরতির পর সিনেমায় ফিরছেন হিরণ-পায়েল জুটি

এই ঘটনায় পুলিশের দ্রুত অ্যাকশনকে সরকারের সাফল্য বলে দাবি করা হচ্ছে। ছত্রপাল সিংহের বক্তব্য এই নীতিরই অংশ। তিনি বলেন, “আমরা সকলে মিলে বরেলিকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেব। এমন ছোট ঘটনা আমাদের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পারবে না।” এই হইচইয়ের পর শহরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে এবং পুলিশ প্যাট্রোলিং জোরদার করেছে।

আমাদের Google News এ ফলো করুন

২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।

Google News Follow on Google News