জাতীয় কংগ্রেসের (congress) অধিবেশনে থাকবেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা (Barack Obama)। কিছুটা আশ্চর্য মনে হলেও এমনটাই সত্যি। কারণ ডিসেম্বরে আসন্ন ৩৯ তম জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশন বসতে চলেছে কর্ণাটকের বেলগাভিতে। আর এই অধিবেশনেই প্রধান অতিথি হিসেবে বারাক ওবামাকে আমন্ত্রণ জানাতে চলেছে কংগ্রেস। কিন্তু দেশের একটি জাতীয় রাজনৈতিক দলের অধিবেশনে কেন বারাক ওবামা প্রধান অতিথি হবেন? এমন প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠবে।
মন্দিরে প্রবেশে মহিলাদের পোশাক নিয়ে নয়া নির্দেশিকা, জারি করল মন্দির কর্তৃপক্ষ
সেই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য আসন্ন অধিবেশনটির একটি গুরুত্ব রয়েছে কংগ্রেসের কাছে। তা হল মহাত্মা গান্ধীর কংগ্রেসের সভাপতিত্ব গ্রহণে শতবর্ষ পূর্তি হতে চলেছে চলতি বছরেই। আর সেই উপলক্ষ্যেই এই বিশেষ অধিবেশন কংগ্রেসের। গত ১৫ অগস্টের ভাষণে এই বিশেষ অধিবেশনের কথা জানিয়েছিলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া।
কেক, মাঞ্চুরিয়ানের মতো খাবারে ক্যানসারের উপাদান, ১২ টি বেকারিতে হানা পুলিশের
বারাক ওবামা অতীতে প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন একাধিকবার মহাত্মা গান্ধীর চিন্তাধারাকে সমর্থন করেছেন। তিনি নিজেও সেই ভাবধারা মেনে চলার পক্ষপাতী বলে দাবি করেছেন। নিজের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থেও তিনি গান্ধীর কথা উল্লেখ করে বলেছেন, “মহাত্মা গান্ধী শুধু ভারতের নেতাই নন, তিনি গোটা বিশ্বের নেতা। তাঁর নীতি,আদর্শ অনুসরন করাই আমাদের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।”
মহিলাদের বিশ্বকাপে এবার ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার’ প্রয়োগ করবে আইসিসি
১৯২৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধত্তর ভারতে কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন মহাত্মা গান্ধী। সেই সময় প্রথম বিশ্বযু্দ্ধের পর, জালিওয়ানওয়ালাবাগের মতো ঘটনা ভারতীয়দের মধ্যে প্রবল ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাবের সৃ্ষ্টি করে। একদিকে দেশে চরমপন্থী আন্দোলনের প্রভাব ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছিল, অন্যদিকে ব্রিটিশ প্রদত্ত ‘ডোমিনিয়ন স্টেটাস’ নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে ভারতের রাজনীতিতে। এই দুইয়ের মধ্যে অহিংস আন্দোলনের নীতিতে একের পর এক গণ আন্দোলনের রূপকার হয়ে ওঠেন মহাত্মা গান্ধী। তারপর খিলাফত আন্দোলন থেকে ডান্ডি অভিযান, গান্ধীজীর নের্তৃত্বে সবেতেই অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছিল কংগ্রেস।