প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়েছেন। তারপর থেকে শুরু তাণ্ডব। এর জেরে আতঙ্কে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা (Bangladeshi minorities)। প্রাণ বাঁচাতে এবং সুস্থ জীবনযাপন করতে অনেকেই ভারতে (India) আসতে চাইছেন। অনলাইনে জমির খোঁজও শুরু হয়েছে।
গত পাঁচই অগাস্ট দেশ ছাড়েন হাসিনা। তারপর ঢাকা, চট্টগামের মতো শহরে বিশাল সমাবেশ করেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা। স্লোগান ওঠে, ‘আমার মাটি, আমার মা। বাংলাদেশ ছাড়ব না।’ এই বাংলাদেশের অনেক সংখ্যালঘুর কাছেই যেন সোনার পাথর বাটি।
বাংলাদেশের অনেক সংখ্যালঘু ফেসবুকে জানতে চাইছেন ভারতে জমির দাম। বাংলাদেশি হয়ে ভারতে জমি কেনার শর্ত। চিরে থেকে হিরে- ফেসবুকে সবেরই বিকিকিনি চলে। তেমনই পশ্চিমবঙ্গে জমি ক্রয়-বিক্রয়ের বিভিন্ন গ্রুপ আছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে সেই সব গ্রুপে যোগ দিচ্ছেন বাংলাদেশিরা। জানতে চাইছেন ভারতে জমির দাম। আরও ভালোভাবে বললে, পশ্চিমবঙ্গে জমির দাম। অনেকেরই পছন্দ কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকা।
শুধু জমির দাম নয়, অনেকেই আইনি বিষয়েরও খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছেন। তাঁদের প্রথম এবং প্রধান প্রশ্ন, বাংলাদেশের নাগরিক কি ভারতে জমি কিনতে পারেন? যদি উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে পদ্ধতি কি? ভারতে থাকা ফেসবুক বন্ধুদের সঙ্গেও এ নিয়ে আলোচনা চলছে।
১৯৪৭, ১৯৭১ কিংবা ২০০১ বারবার বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা ভারতে এসেছেন শরনার্থী হয়ে। সরকার তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু সরাসরি জমি কেনার ক্ষেত্রে নানা জটিলতা ছিল। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশিদের ভারতে প্রবেশের ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি করেছে ভারত। কয়েক সপ্তাহ আগে উত্তরবঙ্গের বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে অনেকে বাংলাদেশি ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করে। তাঁদের আটকে দেয় বিএসএফ।
সরাসরি সীমান্ত পার করতে অনেকেরই অনীহা আছে। তাঁরা বৈধভাবে ভারতে এসে বাড়ি করে বা ফ্ল্যাট নিয়ে থাকতে চাইছেন। এক্ষেত্রে নিয়ম বেশ জটিল। তবে মোদী জমানায় সেই নিয়ম অনেকটাই শিথিল করা হয়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশিদের ভারতে জমি বা বাড়ি কেনার ছাড়পত্র দেয়। শুধু বাংলাদেশ নয়, পাকিস্তান-আফগানিস্তানের সংখ্যালঘুদেরও ভারতে জমি কেনার ছাড়পত্র দেওয়া হয়। শর্ত হচ্ছে, জমি কিংবা বাড়ি কিনতে হলে দীর্ঘমেয়াদি ভিসা নিয়ে ভারতে আসতে হবে। তারপর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ম মেনে জমি বা বাড়ির মতো সম্পত্তি কিনতে পারবেন।