Odisha Train Accident: সাক্ষাৎ ঈশ্বর মানুষ! রক্তের সংকটমোচনে জনতার ভিড়

‘মৃত্যুপুরীতে’ পরিণত হয়েছে বালেশ্বরের দুর্ঘটনাস্থল (Odisha Train Accident)। হাসপাতাল গুলিতে উপচে পড়ছে আহতদের সংখ্যা। তাঁদের চিকিৎসার জন্য রক্তের চাহিদা রয়েছে।

People queue up in Balasore to donate blood

‘মৃত্যুপুরীতে’ পরিণত হয়েছে বালেশ্বরের দুর্ঘটনাস্থল (Odisha Train Accident)। হাসপাতাল গুলিতে উপচে পড়ছে আহতদের সংখ্যা। তাঁদের চিকিৎসার জন্য রক্তের চাহিদা রয়েছে। সেকথা জানতে পেরে অনেকেই রক্তদানের জন্য বালেশ্বরে জমায়েত করেছেন। দুর্ঘটনায় ২৩৩ জনের ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে। আরও মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে আহত প্রায় ৯০০ যাত্রী।

বিশাল যাত্রীবাহী দূরপাল্লার ট্রেনটা এঁকে বেঁকে পড়ে রয়েছে। কামরার ভিতরে লোহার কাঠামো, সিট সব উপড়ে গেছে। দরজা, জানলা আর নেই। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে রয়েছে আহতরা। চাদরে মু়ড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মৃতদেহ।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

সব কিছু ছাপিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সের সাইরেনের শব্দ। শুক্রবার রাতে বেঙ্গালুরু-হাওড়া এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত দুটি কামরায় ধাক্কা মেরে, উল্টে গেল যাত্রীবোঝাই শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ১৫টা কামরা।

কয়েকটি কামরা ছিটকে গিয়ে পড়ে পাশের মালগাড়ির ওপর। দুর্ঘটনায় বহু মানুষ প্রাণ হারান। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সংঘর্ষের পর বহু যাত্রী পাশের একটি খালে গিয়ে ছিটকে পড়েন।

ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে স্থানীয়রাই আহত যাত্রীদের বার করে আনতে শুরু করেন। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় কাছের হাসপাতালে। আহত যাত্রীদের উদ্ধারের জন্য রাজ্য সরকার ২৫টি অ্যাম্বুল্যান্স ও কয়েকটি বাসও পাঠায় উদ্ধারকাজের জন্য। দুর্ঘটনার জেরে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের শালিমার-পুরী সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস এবং ৯টা ২৫ মিনিটের শালিমার-সম্বলপুর এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়।