Assam: রাতের ঘুম উড়েছিল ২০ বছর! ‘দেশহীন’ পুষ্পারানি হাইকোর্টে ফের ‘ভারতীয়’

News Desk: নিজের নাগরিকত্ব প্রমান করতে প্রায় ২০ বছর আইনি লড়াই করে শেষমেষ জয়ী হলেন বঙ্গাইগাঁওয়ের বাবুপাড়া নিবাসী পুষ্পারানি ধর। এই দীর্ঘ আইনি যুদ্ধে নিজেকে…

CAA_d-voter

News Desk: নিজের নাগরিকত্ব প্রমান করতে প্রায় ২০ বছর আইনি লড়াই করে শেষমেষ জয়ী হলেন বঙ্গাইগাঁওয়ের বাবুপাড়া নিবাসী পুষ্পারানি ধর। এই দীর্ঘ আইনি যুদ্ধে নিজেকে ভারতীয় প্রমাণ করতে চারটে দশক পেরিয়েছে। পুষ্পারানির পরিস্থিতি এনআরসি ও সিএএ আইনি মারপ্যাঁচের নিদারুণ উদাহরণ। অসম জুড়ে এমন বহু বাংলাভাষী আছেন যারা ‘দেশহীন’।

৭৫ বছরের পুষ্পারানি প্রয়াত মৃনালকান্তি ধরের স্ত্রী। তাঁর স্বামী রেল বিভাগের কর্মচারী ছিলেন। ভারতীয় হওয়ার পরও তাকে বিদেশির তকমা সেঁটে দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ আইনি যুদ্ধের পর ভারতীয় হিসেবে নিজেকে প্রমান করতে পেরেছেন।

   

পড়ুুুন: কৃষি আইনের বাতিলের পর আসামে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের হুংকার

anti-CAA movement in Assam roared

২০০০ সালে পুষ্পারানিকে এফটি কোর্ট নোটিশ জারি করেছিল।যদিও ২০১৭ সালে তাঁকে বিদেশি ঘোষণা করে। এরপরই পুষ্পারানির পরিবারে ভয় ও আতঙ্কময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। নেমে আসে ঝড়। বিভিন্ন পক্ষ থেকে শুধু প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে কেউই এগিয়ে আসেন না । এমনটা পরিস্থিতির মধ্যে একটি বছর পার হয়ে যায়।

পড়ুন: NRC: ভারতীয় ঘোষণার পরেও ‘ডি নোটিশ’ অসমে, বাঙালি ভারতীর ‘দেশহীন’ আতঙ্ক

pushparani
আইনি লড়াই করে শেষমেষ জয়ী হলেন বঙ্গাইগাঁওয়ের বাবুপাড়া নিবাসী পুষ্পারানি ধর

এফটি কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রচেষ্টায় হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন পুষ্পারানি। এক্ষেত্রে কোনও কোনও দল সংগঠনকে তাঁর পাশে দাঁড়াতে দেখা যায় নি। শুধু তাই নয় ,সেসময়ে প্রথমাবস্থায় ওই বৃদ্ধার জামিন মনজুর করেছিল হাই কোর্ট।পরবর্তীতে হাইকোর্ট বিষয়টি বিস্তারিত অধ্যায়ন করে তাঁকে ভারতীয় ঘোষণা করেছে।

আরও পড়ুন: NRC: ১৬শো কোটির বেশি জলে যাচ্ছে! সাদা হাতিতে পরিণত নাগরিকপঞ্জীর কাজ

ট্রাইবুনালের রায়ে বিদেশি , যদিও গুয়াহাটি হাইকোর্টের রায়ে ভারতীয় ঘোষণা করা হয় ৭৫ বছর বয়সি পুষ্পারানিকে। স্বাভাবিকভাবেই আদালতের এহেন রায়ে উৎফুল্লিত পরিবারটি।

পুষ্পারানির ছেলে অভিযোগ করতে গিয়ে তিনি বলেন ,পুলিশ উঠিয়ে নেবে বলে আমাদের ভয় দেখায়। কিন্তু এই পরিস্থিতি যদি হয় তাহলে আমি মারা যাব। রাতে খাওয়া – ঘুম চলে গিয়েছিল। সেইসঙ্গে বিদেশি বিতরণের নামে ভারতীয়কে এধরণের হয়রানি যাতে বন্ধ হয় এরজন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন পুষ্পারানি।