আগামী ১৪ জানুয়ারি মণিপুর থেকে শুরু হওয়ার কথা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ (‘Bharat Jodo Nyay Yatra’)। তবে মণিপুরের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি রক্তাক্ত। এই অবস্থায় বিজেপি শাসিত এই রাজ্য থেকে রাহুলের যাত্রা শুরু নিয়েই তৈরি হচ্ছে টালবাহানা। এবার বিজেপি শাসিত অসম সরকার দিল শর্ত- কোনওভাবেই ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ চলাকালীন কংগ্রেসকে রাত্রিযাপনের অনুমতি নেই। অসম সরকারের মু়খ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা ও এখন মোদী-শাহর বিশেষ ঘনিষ্ঠ।
হিমন্ত বারবার কংগ্রেসের সমালোচনায় মুখর। এবার তাঁর এলাকায় রাহুল গান্ধীসহ কংগ্রেসের অন্যান্য সফরকাপীদের রাত্রিযারনের অনুমতি না থাকায় বিতর্ক চড়ছে। ৬৬ দিনে ৬,৭১৩ কিলোমিটার বিস্তৃত দূরত্ব অতিক্রম করাই লক্ষ্য এই যাত্রার। তবে তার আগে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি), অসম সরকার এই যাত্রার জন্য কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের রাজ্যের দুটি জেলার মাঠে রাত্রিযাপন করার অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছে বলে জানা গিয়েছে।
অসমের বিরোধী দলনেতা দেবব্রত সইকিয়া সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য জানান, যে দল এখন ব্যক্তিগত খামার জমিগুলিকে তাদের যানবাহন পার্ক করার বিকল্প জায়গা হিসাবে বিবেচনা করছে। সেখানে রাহুল গান্ধী সহ সিনিয়র নেতারা রাত্রিযাপন করবেন। সইকিয়া বলেছেন, প্রাথমিকভাবে রাত্রিবাসের জন্য ধেমাজি জেলার গোগামুখে একটি স্কুল মাঠ ব্যবহার করার অনুমতি পেয়েছিল।পরেঅনুমতি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
কংগ্রেসের দাবি, ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার’ প্রাথমিক ফোকাস হল ভারতের জনগণের জন্য অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং রাজনৈতিক ন্যায়বিচারের পক্ষে ওকালতি করা। নেতারা সংবিধান এবং রাষ্ট্রীয় নীতির নির্দেশমূলক নীতিগুলির প্রতিধ্বনি করে, বৈষম্যগুলি মোকাবেলা করার এবং ঐক্য ও সমতাকে উন্নীত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।