রাতের শহরে শ্যুট-অ্যাট-সাইট! সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা গ্রেফতার ৩৮

ধুবড়ি: ধুবড়িতে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া গোহত্যা বিতর্কের উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছে৷ এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই শনিবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, ৩৮ জনকে গ্রেফতার করা…

রাতের শহরে শ্যুট-অ্যাট-সাইট! সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা গ্রেফতার ৩৮

ধুবড়ি: ধুবড়িতে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া গোহত্যা বিতর্কের উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছে৷ এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই শনিবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, ৩৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই সঙ্গে জেলায় রাতের বেলায় শুট-অ্যাট-সাইট নির্দেশ কার্যকর রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে রাজ্য সরকার কড়া অবস্থান নিচ্ছে।

পুলিশ সুপার বদল

অসম সরকারের তরফে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ধুবড়ির সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (SSP) নবীন সিংহকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে হাইলাকান্দির বর্তমান এসএসপি লীনা ডোলিকে।

   

শনিবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়া X (পূর্বতন টুইটার)-এ পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “ধুবড়ি গরুর মাথা সংক্রান্ত ঘটনার পর ৩৮ জনকে রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে।”

কী ঘটেছিল ধুবড়িতে? Assam Dhubri Law Enforcement

উল্লেখ্য, ৭ জুন ইদের দিন, ধুবড়ি শহরের একটি হনুমান মন্দিরের সামনে একটি গরুর কাটা মাথা ফেলে দেওয়া হয়। এরপরদিন ফের একই কায়দায় গরুর মাথা মন্দির চত্বরে পাওয়া যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানান, “এই ঘটনার পর এলাকায় সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত হতে থাকায় প্রশাসন ৯ জুন ১৪৪ ধারা জারি করে, যা পরে ১০ জুন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় তুলে নেওয়া হয়।”

১৩ জুন (শুক্রবার) ধুবড়ি সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই জেলায় একটি সাম্প্রদায়িক সংগঠন পরিকল্পিতভাবে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তাই রাতের বেলা কেউ যদি বাইরে বের হয় বা পাথর ছোঁড়ে, তাহলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এমনকি শুট-অ্যাট-সাইটও কার্যকর থাকবে।”

Advertisements

উস্কানিমূলক পোস্টার

তিনি জানান, এই অশান্তির পিছনে থাকা একটি সংগঠন ‘নবীন বাংলা’ ধুবড়িকে বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্ত করার ডাক দিয়ে উস্কানিমূলক পোস্টার লাগিয়েছিল, যা গোটা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে।

এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, “ধুবড়ির আইনশৃঙ্খলা কোনওভাবেই বিঘ্ন হতে দেওয়া হবে না। যে বা যারা আইন হাতে তুলে নিচ্ছে, তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।”

সর্বশেষ এই ঘটনায় অসম সরকারের সক্রিয় পদক্ষেপ এবং পুলিশের রদবদল স্পষ্ট করে দিচ্ছে, ধুবড়ির অশান্তি নিয়ে সরকার কোনও রকম শিথিলতা বরদাস্ত করতে রাজি নয়। রাজ্য প্রশাসনের কড়া নজরে এখন সীমান্তঘেঁষা এই জেলা।