চাঞ্চল্যকর অভিযোগ: আরিয়ান খান মামলায় ১৮ কোটি টাকার ঘুষ লেনদেন

News Desk: এই মুহূর্তে খবরের শিরোনামে রয়েছে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি। শাহরুখ খানের বড় ছেলে আরিয়ানকে মাদক কাণ্ডে গ্রেফতারের পরই এনসিবির নাম নিয়ে সর্বত্র…

Aryan Khan

short-samachar

News Desk: এই মুহূর্তে খবরের শিরোনামে রয়েছে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি। শাহরুখ খানের বড় ছেলে আরিয়ানকে মাদক কাণ্ডে গ্রেফতারের পরই এনসিবির নাম নিয়ে সর্বত্র আলোচনা চলছে। এবার এনসিবির বিরুদ্ধেই ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করলেন এক প্রত্যক্ষদর্শী। ওই ব্যক্তির দাবি আরিয়ান খান মামলায় ১৮ কোটি টাকার ঘুষ দেওয়া নেওয়া হয়েছে।

   

প্রমোদতরীতে আরিয়ান খানের সঙ্গে এক ব্যক্তির তোলা সেলফি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল। ওই ব্যক্তিকে নিয়ে প্রথম থেকেই ছিল বিতর্ক। কারণ ওই ব্যক্তি এনসিবির কেউ ছিলেন না। তাহলে তিনি কেন বা কী কারণে আরিয়ানের পাশে ছিলেন তা নিয়েই বিতর্ক বাধে। পরে জানা যায় ওই ব্যক্তির নাম কেপি গোসাভি। তিনি একজন প্রাইভেট ডিটেকটিভ। এই গোসাভির দেহরক্ষী প্রভাকর সইল ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।

প্রভাকরের দাবি, তিনি নিজের চোখে ১৮ কোটি টাকা লেনদেন হতে দেখেছেন। কেপি গোসাভি এবং শ্যাম ডিসুজা নামে দুই ব্যক্তির মধ্যে ১৮ কোটি টাজার একটি চুক্তি হয়। এই ১৮ কোটি টাকা থেকেই ৮ কোটি টাকা পাওয়ার কথা এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের। প্রভাকরের দাবি, সমীর ওই টাকা ঘুষ হিসেবেই পেতেন। সাক্ষী হিসাবে সাদা কাগজে তাঁকে দিয়ে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

যথারীতি প্রভাকরের এই দাবি সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছে এনসিবি। যার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠছে সেই সমীর ওয়াংখেড়ে এদিন জানিয়েছেন তিনি এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করবেন। ঘুষ নেওয়ার যে অভিযোগ প্রভাকর করেছেন, সেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং কল্পনাপ্রসূত। যদি তিনি প্রকৃতই এই বিপুল পরিমাণ টাকা নিতেন তাহলে কি এখনও আরিয়ানকে জেলে থাকতে হত, বলে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন সমীর।

অন্যদিকে এনসিবি দফতরের যে সমস্ত সিসিটিভির ফুটেজ রয়েছে সেখানেও আর্থিক লেনদেনের এমন কোনও কিছুর খোঁজ মেলেনি। এনসিবি পক্ষ থেকে পাল্টা জানানো হয়েছে, আরিয়ান খান একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির পুত্র। কিন্তু মাদক মামলায় তাঁকে জেলে থাকতে হচ্ছে। তাই আরিয়ানকে ছাড়িয়ে আনতে এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে। আসলে এনসিবির গায়ে কালি ছেটাতেই এটা করা হচ্ছে। তবে এ ধরনের অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অন্যদিকে এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে এনসিবির দফতরে আরিয়ানের পাশে বসে তাঁর সঙ্গে কথা বলছেন গোসাভি। পরবর্তী ক্ষেত্রে গোসাভির মোবাইল থেকে আরিয়ান অন্য কারও সাথে কথা বলছেন। রাউত প্রশ্ন তুলেছেন, আরিয়ান গোসাভির ফোন থেকে কার সঙ্গে কথা বলছিলেন তা জানাক এনসিবি। অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বলেছেন, মহারাষ্ট্রে বদনাম করতেই কেন্দ্রের ইশারায় এনসিবি চক্রান্ত করছে।