Mumbai: কল রেকর্ড দেখলেই বোঝা যাবে কে কত ঘুষের প্রস্তাব দিয়েছে, মন্তব্য গোসাভির

News Desk: মুম্বইয়ের মাদক মামলা ক্রমশই যেন জটিল হচ্ছে। চলছে পাল্টা দোষারোপের পালা। কয়েকদিন আগে এই মামলার সাক্ষী প্রভাকর সইল অভিযোগ করেছিলেন, আরিয়ানকে ছাড়ার জন্য…

KP Gosavi

News Desk: মুম্বইয়ের মাদক মামলা ক্রমশই যেন জটিল হচ্ছে। চলছে পাল্টা দোষারোপের পালা। কয়েকদিন আগে এই মামলার সাক্ষী প্রভাকর সইল অভিযোগ করেছিলেন, আরিয়ানকে ছাড়ার জন্য ১৮ কোটি টাকা ঘুষ চাওয়া হয়েছিল। এবার প্রভাকরের সেই দাবি উড়িয়ে দিলেন কিরণ গোসাভি। 

বুধবার রাতে এক জালিয়াতির মামলায় পুণে পুলিশ গোসাভিকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত গোসাভিও মাদক কাণ্ডে এনসিবির অন্যতম সাক্ষী। প্রভাকর সইল গোসাভির দেহরক্ষী হিসেবেই পরিচিত।

কয়েকদিন আগে প্রভাকর দাবি করেছিলেন, তিনি গোপনে গোসাভির সঙ্গে ফোনে অন্য এক ব্যক্তির কথাবার্তা শুনেছেন। তা থেকেই তিনি জানতে পেরেছেন, গোসাভির পরিকল্পনা ছিল শাহরুখ খানের ম্যানেজার পূজা দাদলানির কাছ থেকে ২৫ কোটি টাকা আদায় করা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তাদের মধ্যে ১৮ কোটি টাকায় রফা হয়েছিল। যার মধ্যে ৮ কোটি টাকা দেওয়ার কথা হয়েছিল এনসিবির তদন্তকারী অফিসার সমীর ওয়াংখেড়েকে। ওই টাকা পেলেই আরিয়ানকে মাদক মামলায় রেহাই দিতেন সমীর।

প্রভাকর আরও দাবি করেছিলেন, এনসিবির আধিকারিকরা তাঁকে বেশ কয়েকটি সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়েছিলেন। জমা নিয়েছিলেন আধার কার্ডের প্রতিলিপি। ওই কাগজে সই করার পরই তিনি আরিয়ান খানকে দেখতে পেয়েছিলেন। পাশাপাশি প্রভাকর আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এনসিবি অফিসার সমীর তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলতে পারেন। নিজের জীবন বাঁচাতে মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনারকে তিনি চিঠিও দিয়েছেন।

প্রভাকর এর এই দাবির প্রেক্ষিতে গ্রেফতারের আগেই মুখ খুলেছেন গোসাভি। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, প্রভাকর সব কথাই মিথ্যা বলছেন। যদি কেউ প্রকৃত সত্যটা জানতে চান তাহলে প্রভাকর এবং তার দুই ভাইয়ের কল রেকর্ড ও চ্যাট খতিয়ে দেখা হোক। আমার ফোনের কল রেকর্ড ও সমস্ত চ্যাট খতিয়ে দেখা হোক। তাহলেই সকলে বুঝতে পারবে কে কাকে কত টাকা ঘুষের প্রস্তাব দিয়েছে এবং কেন দিয়েছে?

গোসাভি বলেছে,  বিষয়ে তো অস্পষ্টতার কোন জায়গা নেই। তদন্তকারী অফিসাররা আমার এবং প্রভাকরের ফোনের যাবতীয় তথ্য যদি পরীক্ষা করেন তাহলেই তো বিষয়টি দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে যাবে। তবে গোসাভির এই মন্তব্য নিয়ে এনসিবির পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। 

উল্লেখ্য, গোসাভির বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলায় জারি করা হয়েছিল লুক আউট নোটিস। গোসাভি কেপিজে ড্রিমজ সলিউশন নামে একটি সংস্থা চালাতেন। ওই সংস্থা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদেশে চাকরি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগেই বুধবার রাতে গোসাভিকে গ্রেফতার করে পুণে পুলিশ।