সংসদের পথে মাফলারম্যান? রাজ্যসভার পথে রাজনীতির নয়া ইনিংস কেজরির

নয়াদিল্লি: আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরই মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ছাড়েছিলেন তিনি৷ দিল্লিতে সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে ফেল লড়াইয়ে নেমেছিলেন৷ কিন্তু, জিততে পারেননি৷ এবার ঘুরপথে সক্রিয়…

নয়াদিল্লি: আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরই মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ছাড়েছিলেন তিনি৷ দিল্লিতে সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে ফেল লড়াইয়ে নেমেছিলেন৷ কিন্তু, জিততে পারেননি৷ এবার ঘুরপথে সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরতে চাইছেন আপ প্রধান৷ রাজ্যসভার পথে সংসদে পা রাখার পরিকল্পনা ছকে ফেললেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল?

সঞ্জীব অরোরা ২০২২ সালে পাঞ্জাব থেকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন৷ উপনির্বাচনে অংশ নিতে হলে তাঁকে সাংসদ পদ ত্যাগ করতে হবে৷ বিধানসভায় নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য রাজ্যসভার আসন ত্যাগ বাধ্যতামূলক।

   

এই সিদ্ধান্তের পর, রাজনৈতিক মহলে একটি নতুন গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। সূত্রের দাবি, সঞ্জীব অরোরা যদি উপনির্বাচনে জয়ী হন, তবে তার শূন্য হওয়া রাজ্যসভা আসনটি আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দেওয়া হতে পারে। যদিও আপ এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি, তবে দলীয় অন্দরে এই বিষয়ে আলোচনা চলছে। কেজরিওয়াল, যিনি গত বছর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করার পর এখন পাঞ্জাবে রাজনৈতিক শক্তি বৃদ্ধি করতে আগ্রহী।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কেজরিওয়াল যদি রাজ্যসভায় ফেরেন, তবে এটি পাঞ্জাবে আপ-র অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে এবং কেজরিওয়ালের নেতৃত্বকে দৃঢ় করবে। পাঞ্জাবের রাজনীতিতে কেজরিওয়ালের নতুন কৌশল অবলম্বন করার সম্ভাবনা আছে, যাতে তিনি দিল্লির বাইরে অন্য কোথাও তার দলের প্রভাব বাড়াতে পারেন।

সূত্রে জানা গেছে, সঞ্জীব অরোরা যদি উপনির্বাচনে জয়ী হন, তাকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করার কথাও ভাবা হতে পারে, যা কেজরিওয়ালের জন্য তার রাজ্যসভা আসন ছেড়ে দেওয়ার একটি সম্ভাবনা তৈরি করবে। এভাবে পাঞ্জাবে রাজনৈতিক ভারসাম্য এবং কেজরিওয়ালের প্রভাব বৃদ্ধি হতে পারে।

এদিকে, লুধিয়ানা পশ্চিম আসনটি ২০২২ সালের পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে এএপি-র গুরপ্রীত গোগি জিতেছিলেন। গোগি গত মাসে একটি দুর্ঘটনায় নিহত হন, যার কারণে আসনটি শূন্য হয়েছে।

৷